পোস্টগুলি

জানুয়ারি, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

এটি হাদীস নয়: আঠারো হাজার মাখলুকাত

উপরের কথাটি লোকমুখে এতই প্রসিদ্ধ যে, অনেকের কাছে তা কুরআন-হাদীসের বাণীর মতো স্বতঃসিদ্ধ। কিন্তু মাখলুকাতের এই নির্দিষ্ট সংখ্যা না কুরআনে আছে, না কোনো সহীহ হাদীসে। বাস্তবতা হল, আল্লাহ তাআলা অগণিত মাখলুক পয়দা করেছেন। জলে ও স্থলে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির মাখলুক আল্লাহর অসীম কুদরতের প্রমাণ। মানুষের জানার বাইরেও রয়েছে অসংখ্য মাখলুক। আল্লাহ তাআলা কত ধরনের মাখলুক সৃষ্টি করেছেন তার নির্দিষ্ট সংখ্যা সহীহ হাদীসে বলা হয়নি। একটি ‘মুনকার’ বর্ণনায় এর সংখ্যা ‘এক হাজার’ বলা হয়েছে। কিন্তু অনেক মুহাদ্দিস বর্ণনাটিকে মাওযূ বা জাল বলে আখ্যা দিয়েছেন। (আলমাওযূআত, ইবনুল জাওযী ২/২১৬; আলফাওয়াইদুল মাজমুআ পৃ. ৪৫৮-৪৫৯) এছাড়া এই সংখ্যা সম্পর্কে কিছু মনীষীর উক্তিও রয়েছে। যেমন মারওয়ান ইবনুল হাকামের কথামতে সতের হাজার জগত রয়েছে। আর আবুল আলিয়ার অনুমান অনুযায়ী চৌদ্দ হাজার কিংবা আঠারো হাজার মাখলুকাত আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন। এই বিভিন্ন সংখ্যা কিছু মনীষীর উক্তিমাত্র, হাদীস নয়। দ্বিতীয়ত তাদের বক্তব্য থেকেও অনুমিত হয় যে, নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা বোঝাতে নয়; বরং আধিক্য বোঝাতেই তারা এ সব কথা বলেছেন। তাও আবার অনুমান করে। এই কার...

বিদায়! বিদায়! (কবিতা)

বিদায়! বিদায়!                                                              এম,এ,এইচ,ইরফান বিদায়! বিদায়! একি কলরব ধ্বনিছে বাতাসে ক্রন্দন ভরা অক্ষিপট, ভাসাইছে সবাই ঝর্ণার ধারা অধর পুষ্প নাহি ফুটে, মুখে সবার বিষণ্ণতা আজি মোদের বিদায় লগ্ন, কহিছে কৃষ্ণপাতা। বিদায় ঘণ্টা তাল তুলেছে ঢং ঢং করুণ তানে সাত বছরের লালিত মাতৃক্রোড় ছেড়ে পাড়ি জমাব আজ জীবন উচ্ছাশার আরেক পথ পানে। অতীত ফেলি ভাবি চিন্তায় নিমগ্ন সভায় একি নিয়ম নীতি সবার, বুঝি না আমি। কত স্মৃতি হাসি উল্লাস মাখা দিন মিশে আছে এই মাদ্রাসায় প্রতিটি পাথর-বেঞ্চ-ঘণ্টা সবার মাঝে আমাদের ভালবাসায় আজ ছাড়িতে হবে এসব, দিতে হবে বলি, একি ব্যাথা। রচিত হবে স্মৃতির মঠ, হবে কি আর কখনো এভাবে আসা? হৃদয় প্রশান্ত ব্যাথায় বলে, সাহারার তপ্ত বালি কেন আসিল এ বিদায় লগন, কেন হল সৃষ্টি? কত স্মৃতি কত কথা আজ বলে ধূসর মরুভূমি অলস মন যেতে নাহি চায়, ভু...

বিদায় মাদ্রাসা

বিদায় মাদ্রাসা                                               - এম,এ,এইচ,ইরফান অনেক বছর ছিলাম মাদ্রাসা তোমার বুকে আর না -আসিব আমি তোমারই মাঝে। ব্যার্থ হয়োনা যেন, তুমি আমাকে খুঁজে।। আমি চলে গেলে আসিবে নতুন জন। তারে তুমি করে নিও একান্ত আপন।। বিদায়ের স্মৃতি বড় বেদনা দায়ক। আমি চেয়েছিনু তব স্বপ্নের নায়ক।। বহু আশা নিয়ে এসেছিনু তব দ্বারে। শত ব্যাথা বুকে নিয়ে যাচ্ছি ফিরে।। তোমাকে মনে থাকবে মোর আমরণ। যতকাল বেঁচে থাকি করিব স্মরণ।। বিদায় বেলায়, আমি তাই বলে যায়। অন্যায় যদি করে থাকি তোমার কাছে, সব টুকু ফেলে দিও মন থেকে মুছে। এ জীবনে যত দুঃখ যাবে সব ঘুচে।।

বিদায় (কবিতা)

বিদায়!                             -এম,এ,এইচ, ইরফান বিদায় সেতো সুখের বর্তা নয় বিদায় সেতো অনেক কষ্টের হয়, যখনি সামনে উচ্চারিতো হয় বিদায় তখনি মন ভেঙ্গে পড়ে কান্নায়। রাশি রাশি ভারা ভারা স্মৃতি মন কিছুতেই দিতে চায়না ইতি, বিদায় সেতো এক সাগর অশ্রুজল যেখানে দিবা-রাত্রি করে কলকল। যখনি আসে নিষ্ঠুর বিদায়ের পালা মনের গভিরে ক্ষণে ক্ষণে বেড়ে যায় জালা, যখনি সামনে বাজে বিদায়ের ঘন্টা  ভেবে ক্লান্ত হয় এই অবুজ মনটা। বিদায় সেতো চলে যাওয়ার বেদনা এই জন্যে মনকে বলি তুমি আর কেদোনা।

বিদায় : জীবনের অনিবার্য বাস্তবতা

ছবি
এম,এ,এইচ,ইরফানঃ তিন অক্ষরের ছোট্ট একটি শব্দ-বিদায়। মাত্র তিন অক্ষর। কিন্তু শব্দটির আপাদমস্তক বিষাদে ভরা। শব্দটা কানে আসতেই মনটা কেন যেন বিষণ্ণ হয়ে ওঠে। এমন কেন হয়? কারণ এই যে,বিদায় হচ্ছে বিচ্ছেদ। আর প্রত্যেক বিচ্ছেদের মাঝেই নিহিত থাকে নীল কষ্ট। বিদায় জীবনে শুধু একবারই নয়, এক জীবনে মানুষকে সম্মুখীন হতে হয় একাধিক বিদায়ের। সে-ই যে জন্ম লগ্ন থেকে বিদায়ের সূচনা, তারপর জীবন পথের বাঁকে বাঁকে আরো কত বিদায় যে অনিবার্য হয়ে আসে...। মানবশিশু ভুমিষ্ট হয়েই কাঁদতে থাকে। কেন সে কাঁদে? সে তো কাঁদবেই। এতদিন মায়ের নাড়ির সঙ্গে তার যে বন্ধন ছিল সেটি যে আজ ছিন্ন হল। এভাবে জীবনের পরতে পরতে ছিন্ন হয় আরো কত প্রিয় বন্ধন! শিক্ষাজীবনের সমাপ্তিতে সহপাঠী ও প্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বিদায় নেয়ার বিষয়টিও এমনি এক নিবিড় বন্ধন ছিন্ন হওয়া, যা খুব সহজে ভোলা যায় না। তবে এ বিদায়ের বেলায় কষ্টের মাঝেও এক রকম আনন্দ থাকতে পারে যদি সান্তনার সংকট না থাকে। এই সান্তনা শিক্ষাজীবনে সফলতার সান্ত্বনা। পক্ষান্তরে,  যার   সান্ত্বনার সংকট থাকে-অর্থাৎ বিদায়যাত্রী যদি পেছনে তাকিয়ে দেখে যে...