পোস্টগুলি

নভেম্বর ২৮, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

পর্দা : বিধান ও কল্যাণ

ছবি
পর্দা-বিধান ইসলামী শরীয়তের পক্ষ থেকে সাধারণভাবে সমাজ-ব্যবস্থার এবং বিশেষভাবে উম্মতের মায়েদের জন্য অনেক বড় ইহসান। এই বিধানটি মূলত ইসলামী শরীয়তের যথার্থতা, পূর্ণাঙ্গতা ও সর্বকালের জন্য অমোঘ বিধান হওয়ার এক প্রচ্ছন্ন দলিল। পর্দা নারীর মর্যাদার প্রতীক এবং ইফফাত ও পবিত্রতার একমাত্র উপায়। অনেকে মনে করেন, পর্দা-বিধান শুধু নারীর জন্য। এ ধারণা ঠিক নয়। পুরুষের জন্যও পর্দা অপরিহার্য। তবে উভয়ের পর্দার ক্ষেত্রে পার্থক্য রয়েছে। যে শ্রেণীর জন্য যে পর্দা উপযোগী তাকে সেভাবে পর্দা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে কোনো ন্যায়নিষ্ঠ ব্যক্তিই কুরআন-সুন্নাহর পর্দা সম্পর্কিত আয়াত ও হাদীসসমূহ গভীরভাবে অধ্যয়ন করলে এই বাস্তবতা স্বীকার করবেন যে, ইসলামে পর্দার বিধানটি অন্যান্য হিকমতের পাশাপাশি নারীর সম্মান ও সমাজের পবিত্রতা রক্ষার জন্যই দেওয়া হয়েছে। এজন্য এই বিধানের কারণে প্রত্যেককে ইসলামের প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত। কৃতঘ্ন হয়ে এ বিধান সম্পর্কে অযথা আপত্তি করা উচিত নয়। আকবর এলাহাবাদী বলেন- প্রাশ্চাত্যের ও প্রাশ্চাত্য প্রভাবিত পুরুষদের অন্তরে পর্দা পড়ে যাওয়ার কারণে তারা এই বাস্তবতা অনুধাব...

হিজাব ও পর্দা : কিছু সহজ-সরল কথা

পর্দা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। কুরআন মজীদের কয়েকটি সূরায় পর্দা-সংক্রান্ত বিধান দেওয়া হয়েছে। পর্দার বিষয়ে আল্লাহ তাআলা সকল শ্রেণীর ঈমানদার নারী-পুরুষকে সম্বোধন করেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আদেশ করেছেন তিনি যেন তাঁর স্ত্রীদেরকে, কন্যাদেরকে এবং মুমিনদের নারীদেরকে চাদর দ্বারা নিজেদেরকে আবৃত রাখার আদেশ দেন। কিছু আয়াতে উম্মুল মুমিনীনদেরকেও সম্বোধন করেছেন, কোনো কোনো আয়াতে সাহাবায়ে কেরামকেও সম্বোধন করা হয়েছে। মোটকথা, কুরআন মজীদ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে মুসলিম নারী ও পুরুষের জন্য পর্দার বিধান দান করেছে। এটি শরীয়তের একটি ফরয বিধান। এ বিধানের প্রতি সমর্পিত থাকা ঈমানের দাবি। কিন্তু বেদনার বিষয় এই যে, পশ্চিমা সভ্যতা ও সংস্কৃতির প্রভাবে আমাদের ‘মুসলিম-সমাজ’ এতটাই প্রভাবিত হয়ে পড়েছে যে, কুরআন ও সুন্নাহর বিধানও তাদের কাছে অপরিচিত ও অপ্রয়োজনীয়! (নাউযুবিল্লাহ) ইসলামের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিধান তো-আল্লাহ হেফাযত করুন-মুসলিম পরিচয় বহনকারীদের দ্বারা আক্রমণেরও শিকার। ঐসব বিধানের মধ্যে একটি হচ্ছে পর্দা বিধান। এই সব ‘মুসলমানদের’ কে বোঝাবে যে, এটা নিজের পায়ে কুঠারাঘাতের শামিল...

হে বোন!!!!!!!! নিজের মুল্য বুঝুন, আগামীর কথা ভাবুন।।

ছবি
হে বোন..... “আপনি রাস্তা দিয়ে হাঁটলে অনেক যুবক আপনার কোমরের দিকে আর আপনার বুকের দিকে তাকিয়ে চোখের স্বাদ পায়। তাতে আপনার ভালো লাগে। আপনার হাসিতে গালে টোল পড়া গর্তে অনেক ছেলে নিজেকে কল্পনায় ভাসিয়ে নেয়, তাতে আপনি আনন্দ পান।” . “বুকের উড়না সরিয়ে রাস্তায় হেঁটে বহু যুবকের দৃষ্টি কেড়ে নিতে পারেন মুর্হূতে, এটা আপনার তৃপ্তি! আপনি প্রতি মাসে বিউটি পার্লারে যে টাকা খরচ করেন সে টাকায় কোন গরীব রিকশা চালকের এক মাসের সংসার খরচ চলে যায়।” . —হয়তো সেটা আপনার বাহাদুরি! . “আপনি রাস্তায় হাঁটার সময় শত যুবক আড়-চোখে আপনার দিকে তাকায়! ওরা আপনাকে কিছু সময়ের জন্য কাছে পেতে চায়, সারাজীবনের জন্য নয়।” . “আপনি কি জানেন?– কোন সভ্য মা আপনাকে তার পুত্রবধু হিসেবে চাইবেনা! বরং কিছু সময়ের জন্য কোন ছেলে আপনার মোহে হারিয়ে যাবে। যেমনটা রাস্তার পাশে হকারে কোন শার্ট ভালো লাগলে আমরা তাকিয়ে দেখি।” . “আপনি কি জানেন?– আমরা ঢেকে রাখা দ্রব্য নিরাপদ মনে করি। কারণ তার ভিতরটা জীবাণু মুক্ত থাকে। খোলা জিনিসে মাছি এসে ভীড় করে।” তাহলে আপনি খোলামেলা চলাফিরার পর নিজেকে জীবাণু মুক্ত ভাবেন??? . “আপনি কি জানেন?–...