পোস্টগুলি

নভেম্বর ১৩, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ভালো মানুষ হয়ে উঠতে অনিবার্য যে ১০টি গুণ।

ছবি
এম,এ,এইচ,ইরফান এই পৃথিবীতে অনেক ধরনের মানুষই রয়েছেন। কেউ হয়তবা অনেক ভালো, কেউ অনেক বেশি খারাপ, কেউ আবার মাঝামাঝি পর্যায়ের। কিন্তু মানুষ জন্মগতভাবে কখনই খারাপ থাকে না। জন্মের পর পরিবেশগত কারণে বা অন্য কোনো বাস্তব কারণে খারাপের পথে অগ্রসর হয়। তবু সব মানুষের ভেতরেই একটি পবিত্র সত্ত্বা রয়েছে। পৃথিবীটিতে অনেক খারাপ কাজের মাঝে নিজেকে ভালো রাখাও অনেক কঠিন একটি কাজ। নিজেকে ভালো রাখতে এবং ভালো একজন মানুষ হতে মেনে চলুন ১০টি কৌশল। ১. ইচ্ছা থাকতে হবে : ভালো মানুষ হয়ে ওঠার জন্য সবার প্রথমে যে বিষয়টি থাকতে হবে সেটি হল ইচ্ছাশক্তি। যত খারাপ পরিবেশেই আপনি বসবাস করেন না কেন আপনি একজন ভালো মানুষ হয়েই বেঁচে থাকবেন এমন ধরনের ইচ্ছাশক্তি থাকতে হবে। ইচ্ছা থাকলেই আপনি পারবেন একজন ভালো মানুষ হতে। ২. বাস্তব হতে হবে : যদিও বাস্তবতা অনেক বেশি কঠিন। তারপরও ভালো মানুষ হয়ে উঠতে বাস্তবতাকে বুঝতে হবে। ধরুন একজন ছিনতাইকারী যদি বুঝতে শেখে যে সে যার ছিনতাই করতে যাচ্ছে সেটি নিশ্চয় তার জীবনের সঞ্চয়। এটিকে ঘিরে তার অনেক স্বপ্ন গড়ে উঠেছে। তাহলে আর খারাপ কাজটি ঘটে না। বাস্তবিকভাবে চিন্তা করলে একজন ছিনতাইকারীও হয়ে ...

যে পাঁচটি কারণে পরিবারের "মেজো সন্তানেরা" আলাদা।

ছবি
এম,এ,এইচ,ইরফান: পরিবারের মেজো সন্তানকে নিয়ে অনেক সময়বাবা-মায়ের দুশ্চিন্তার সীমা থাকে না। কারণবেশীরভাগ সময়ই পরিবারের মেজো সন্তানকে হতে দেখা যায় স্বাধীনচেতা, আত্মনির্ভরশীল এবং একেবারে আলাদা মনমানসিকতার মানুষ। কিন্তু সত্যিকার অর্থে পরিবারের মেজো সন্তানটি হয়ে থাকে সবচাইতে ভালো মনের মানুষ। পরিবারের বড় সন্তানেরা অনেক বেশি আত্মত্যাগী ও ছোটরা উড়নচণ্ডী ধরণের হয়ে থাকে বলেন অনেকেরই বিশ্বাস। কিন্তু মেজোজনের বৈশিষ্ট্য কিন্তু সহজে চোখে পড়ে না। তারা কতটা চিন্তা করে চলেও তাও অনেকে বুঝতে পারে না। আর তাদের এই ধরণের চিন্তাই তাদের করে তোলে একেবারে আলাদা ও ভালো মানসিকতার। ১) মেজো ছেলেমেয়েরা সম্পর্কের মূল্য অনেক বেশি ভালো বুঝে থাকেন বড় এবং ছোটদের সঙ্গে কীভাবে ব্যবহার করতে হয়, তাদের সঙ্গে কীভাবে চললে সম্পর্ক অনেক বেশি ভালো থাকে তা মেজোরাই ভালো বুঝে থাকেন। কারণ তিনি তার বড় ভাই-বোনের কোনও ব্যবহারে কষ্ট পেয়ে থাকলে নিজের ছোটোজনের সঙ্গে কীভাবে ব্যবহার করতে হবে তা বুঝে যান। তিনি নিজের বড় কারও সঙ্গে যেভাবে ব্যবহার করবেন সেটাই তিনি তার ছোটজনের কাছ থেকে ফিরে পাবেন ভেবে তাও নিজে থেকেই শিখে নেন। এই দুটি বিষয় ক...

সম্মিলিত দুআ : একটি প্রশ্নের উত্তর;

ছবি
এম,এ,এইচ,ইরফান: দুআ অনেক বড় আমল, এমনকি হাদীস শরীফে এসেছে যে, ‘দুআই ইবাদত।’ এই দুআ যেমন একা একা করা যায় তেমনি সম্মিলিতভাবেও করা যায়। শরীয়ত যেখানে কোনো একটি পন্থা নির্ধারণ করে দিয়েছে সেখানে ওইভাবে দুআ করতে হবে- একা হলে একা এবং সম্মিলিতভাবে হলে সম্মিলিতভাবে। কিন্তু শরীয়ত যেখানে কোনো একটি পন্থা নির্দিষ্ট করেনি সেখানে উভয় পন্থাই মুবাহ। বিনা দলীলে কোনো একটিকে যেমন নাজায়েয বলা যায় না তেমনি সুন্নত বা জরুরিও বলা যায় না। এধরনের ক্ষেত্রে উভয় পন্থাই মুবাহ ও দুআকারীর ইচ্ছাধীন থাকে। উল্লেখ্য, সম্মিলিত দুআ দুইভাবে হতে পারে। এক. সমবেত লোকদের মধ্যে একজন দুআ করবে এবং অন্যরা আমীন বলবে। দুই. একস্থানে সমবেত হয়ে সবাই দুআ করবে, প্রত্যেকে নিজে নিজে দুআ করবে। এই উভয় ছুরত জায়েয। এছাড়া, সমবেত হওয়ারও দুই ছুরত হতে পারে। শুধু দুআর উদ্দেশ্যেই সমবেত হওয়া কিংবা কোনো দ্বীনি বা দুনিয়াবী কাজের উদ্দেশ্যে সমবেত হয়ে মজলিসের শুরু বা শেষে সম্মিলিতভাবে দুআ করা। এই দুই ছুরতই জায়েয। তবে কোথাও যদি কোনো শরয়ী সমস্যা যুক্ত হয় তবে তার হুকুম ভিন্ন। এই সংক্ষিপ্ত মৌলিক আলোচনার পর শরীয়তের দলীলসমূহে সম্ম...