পোস্টগুলি

নভেম্বর ১৫, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

তেতো ওষুধ।

আবিদা: অন্যায়কে প্রতিহত করার জন্য কখনো কখনো অভিভাবককে হস্তক্ষেপ করতে হয়। এসময় দ্বিধা-সংকোচ পরিত্যাগ করে বিচক্ষণতার সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। অন্যথায় পরে তা কঠিন হয়ে যায়। আমাদের শৈশব কেটেছে শামে। এখন যেসব জিনিস খুব সহজলভ্য তা আগে বাইরে থেকে আসত। বড়রা যখন      বিভিন্ন কাজে বৈরুত যেতেন তখন আমরা নানার বাড়িতে অবস্থান করতাম। বৈরুতে তখন অনেক লোভনীয় জিনিস পাওয়া যেত! বড়রা আমাদের জন্য সেইসব জিনিস নিয়ে আসতেন। একবার কিছু চকোলেটের প্যাকেট আসল। খুব সুন্দর রঙ্গীন প্যাকেটে ছোট ছোট চকোলেট। সেদিন আমাদের এক আত্মীয় ছেলেদেরকে নিয়ে বেড়াতে এসেছিলেন। আমরা ছোটরা সবাই একটি করে প্যাকেট পেলাম। আমরা বড়দের কাছ থেকে সৌজন্য-প্রকাশের শিক্ষা পেয়েছিলাম। তাই বেড়াতে আসা আত্মীয়-স্বজনের কাছে গিয়ে আবদার করলাম যে, আমার প্যাকেট থেকে একটু নিন। এতে তাদের বাচ্চারা খুব খুশি হল এবং নিজেদের প্যাকেটগুলো পকেটে রেখে আমাদের প্যাকেট থেকে খেতে লাগল। বড়রা কিছুই বলছিলেন না। আমরা খুব বিরক্ত হলাম, কিন্তু কী করব ভেবে পাচ্ছিলাম না। বড়দের সামনে আমরা ওদেরকে বাধাও দিতে পারছিলাম না। আবার...

মেয়েরা যেন নিজেদের ইসলাহের ফিকির করেন।

আখলাকের-দুরস্তী সম্পর্কে কথা বলছিলাম। আমাদের মেয়েদের এ বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া খুবই জরুরি। মনে রাখা উচিত যে, আখলাক দুরস্ত না হলে অযীফা-ইবাদত কোনো কাজে আসবে না। হাদীস শরীফে এসেছে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলা হল, অমুক মহিলা অত্যন্ত ইবাদতগুযার, রাতভর ইবাদত-বন্দেগী করে, কিন্তু প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়। ইরশাদ হল,  ‘ সে জাহান্নামী। ’  অন্য মহিলা সম্পর্কে বলা হল যে, সে ইবাদত-বন্দেগী অধিক করে না তবে প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে। ইরশাদ হল,  ‘ সে জান্নাতী। ’ আমাদের মেয়েদের পূর্ণ বুযুর্গী আজকাল তাসবীহ ও অযীফা-পাঠের মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। আখলাক দুরস্ত করার দিকে মনোযোগ নেই বললেই চলে। অথচ সুন্দর আখলাক দ্বীনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আর দ্বীনের একটি অংশও যদি কারো মধ্যে অনুপস্থিত থাকে তবে তার দ্বীনদারী পূর্ণাঙ্গ নয়। কেউ তো নামায-রোযাকেই সম্পূর্ণ দ্বীন মনে করে। কেউ শুধু বাহ্যিক ভদ্রতা রক্ষায় যত্নবান, অযীফা ও ইবাদত সম্পর্কে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। অথচ তাদের আখলাকও পুরোপুরি দুরস্ত নয়। আর দুরস্ত হলেও তা কোনো কাজে আসত না। আবার কিছু মানুষ আছে যাদের আমল-আকী...

শাশুড়ির মন জয় করবেন কিভাবে, জেনে নিন ১০টি কার্যকরী কৌশল।

          বিয়ের পর শ্বশুর বাড়ি যেতে সব মেয়েদেরই ভয় হয়। মূল ভয়টা কিন্তু শাশুড়ির। কয়েকটি সহজ পদ্ধতি অনুসরণ করলে শাশুড়ির মন জয় করাটা কোনও কঠিন কাজ নয়। কেউ কেউ মরে করেন শাশুড়ির সাথে কিভাবে কথা বলবো। শাশুড়ি আবার রাগান্বিত হয়ে বকাজকা করবেন নাতো। এই নিয়ে নতুন বধুর দুশ্চিনা শেষ থাকে না। কিন্তু ১০ টি কার্যকরী কৌশল অবল্বন করলেই আপনি শাশুড়ির মন জয় করতে পারবেন। ১) শাশুড়িকে শুধু ‘মা’না বলে ‘মামণি’ বা ‘মামমাম’ বলুন। বউয়ের মুখে এমন আদুরে ডাক শুনলে অনেকটা মানসিক দূরত্ব কমে যায়। তবে শাশুড়ির যদি এই ডাকে আপত্তি থাকে তবে সঙ্গে সঙ্গেই অভ্যাস পালটে নিন। তাঁর ইচ্ছেমতো ডাকেই তাঁকে ডাকুন।  ২) কখনও শ্বশুর বা স্বামীর সঙ্গে শাশুড়িকে নিয়ে হাসিঠাট্টায় অংশ নেবেন না। বরং এসব ক্ষেত্রে শাশুড়ির পক্ষ নিন।  ৩) বিয়ের পর প্রথম প্রথম তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করুন। এক দু’বছর পরে সম্পর্ক সহজ হয়ে গেলে দেরি করে উঠলে অতটা ক্ষতি নেই কিন্তু প্রথমদিকে বউ দেরি করে উঠলে শাশুড়িদের মধ্যে নানা ধরনের জটিল ভাবনা খেলা করে। সেই থেকেই বউয়ের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়। ৪) শাশুড়ির শরীর-স...