পোস্টগুলি

2018 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মৃত্যু কামনার প্রতি নিষেধাজ্ঞা।

আমাদের সমাজে অনেক মানুষকে দেখা যায় তারা যখন কোন কষ্ট সহ্য করতে পারেনা তখন তারা অসহ্য হয়ে মৃত্যু কামনা করে আল্লাহর কাছে বলে, হে আল্লাহ তুমি আমাকে মৃত্যু দান কর। আসলে কি মৃত্যু কামনা করা জায়েয আছে??? আসুন দেখে এ বিষয়ে হাদীস কি বলে। عَنْ حَارِثَةَ بْنِ مُضَرِّبٍ، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى خَبَّابٍ وَقَدِ اكْتَوَى فِي بَطْنِهِ فَقَالَ مَا أَعْلَمُ أَحَدًا مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لَقِيَ مِنَ الْبَلاَءِ مَا لَقِيتُ لَقَدْ كُنْتُ وَمَا أَجِدُ دِرْهَمًا عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَفِي نَاحِيَةٍ مِنْ بَيْتِي أَرْبَعُونَ أَلْفًا وَلَوْلاَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَانَا – أَوْ نَهَى – أَنْ نَتَمَنَّى الْمَوْتَ لَتَمَنَّيْ অর্থ, হারিছা ইবনু মুয়ারবিন (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি খাব্বাব (রাঃ) এর নিকট উপস্থিত হলাম তাঁর পেটে তখন (আগুন দিয়ে) দাগ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বললেন, জানিনা, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কোন সাহাবী এত বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন কিনা যত বিপদ ও কষ্টের সম্মুখীন আমি হয়েছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াস...

যে কারণে বিতর্কিত মাওলানা সাদ

ছবি
শতবছর আগে দ্বীন ও ইসলামের দাওয়াতি কাজকে তরান্বিত করতে মাওলানা ইলিয়াছ শাহ (রাহ.) দিল্লির নিজামুদ্দিন মসজিদ থেকে তাবলিগের কাজ শুরু করেন। মাওলানা ইলিয়াছ (রাহ.)-এর ছেলে মাওলানা হারুন (রাহ.)। তারই ছেলে হলেন মাওলানা সাদ কান্ধলভী। দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের বর্তমান মুরব্বী সাদ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় কুরআন, হাদিস, ইসলাম, নবি-রাসুল ও নবুয়ত এবং মাসআলা-মাসায়েল নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। তিনি তার এ সব আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য দেওবন্দসহ বিশ্ব আলেমদের কাছে বিতর্কিত হয়েছেন। তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যগুলো ‘সা’আদ সাহেবের আসল রূপ’ নামে একটি ছোট্ট বই আকারে প্রকাশ করেছেন জামিয়া মাদানিয়া বারিধারার মুহাদ্দিস, তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বী এবং দ্বন্দ্ব নিরসনে ভারত সফরকারী ৫ সদস্যের অন্যতম মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক। তাঁর লিখিত ‘মাওলানা সাদ সাহেবের আপত্তিকর’ কুরআন-হাদিস বিরোধী বক্তব্যগুলো তুলে ধরা হলো- > ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকা>>  ভোটের সময় চিহ্ন হিসাবে (আঙুলে) যে রং লাগানো হয়, তার কারণে নামাজ হয় না। তাই ভোট না দেয়া উচিত। > কুরআন শরীফের ভুল ব্যাখ্যা>>  বিভিন্ন আয়াত...

বি সং বা দ : তাবলীগ জামাতের বিবাদ : সমস্যার সমীকরণ

ছবি
সম্প্রতি তাবলীগ জামাতের ব্যবস্থাপনাকে কেন্দ্র করে   কাকরাইল মসজিদে তাবলীগের দুই পক্ষের মাঝে যে বিসংবাদের ঘটনা ঘটেছে তা দেশের বিজ্ঞ উলামায়ে কেরামকে তো বটেই, সাধারণ চিন্তাশীল মানুষকেও ভারাক্রান্ত করে তুলেছে। সাধারণ জনগণের মাঝে দ্বীনী বেশভুষার বিস্তার এবং দ্বীন পালনে আগ্রহ সৃষ্টিকারী যে ক’টি কাজ আমাদের এই ছোট্ট দেশটিতে জারি ছিল তন্মধ্যে তাবলীগ জামাতের মেহনত অন্যতম। বর্তমানের সর্বগ্রাসী বেদ্বীনীর সয়লাবের মাঝে কলেজ-ভার্সিটির ছাত্র-শিক্ষক ও সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত আম জনতার মাঝে দ্বীনী জীবন যাপনে আগ্রহ সৃষ্টির ক্ষেত্রে এই মেহনতের অবদান অনস্বীকার্য। দ্বীনের ব্যাপারে উদাসীন জনতার মাঝে এই আগ্রহটুকু সৃষ্টিও নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বীনী কাজ। এই আগ্রহ সৃষ্টি হলে আশা করা যায়, মানুষ দ্বীনের আকীদা-আহকাম শিখবে, ইবাদত-বন্দেগী ও পেশাগত কাজকর্মের মাসাইল জানবে, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনের হক ও আদবসমূহ জানবে, নিজেও জানবে অন্যদেরও জানার ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করবে এবং মসজিদ, মাদরাসা প্রতিষ্ঠায় আত্মনিয়োগ করবে। বলা বাহুল্য, এগুলো প্রত্যেকটি আলাদা আলাদা দ্বীনী কাজ, দ্বীনী মেহনতের বিভিন্ন অঙ্গন।...

মাদ্রাসা কি ও কেন? কওমী শিক্ষার পরিচয়”

ছবি
“কওমী মাদ্রাসা” সঠিক সম্ভাবনা ও প্রদীপ্ত আশার আলো, পৃথিবীর বুকে যুগ পরম্পরায় যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে সেগুলোর মাঝে অন্যতম ও সর্বোত্তম প্রতিষ্ঠান হচ্ছে কওমী মাদ্রাসা। যার নির্মাতা ও প্রতিষ্ঠাতা হলেন মহান স্রষ্টা স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এর পক্ষ থেকে প্রেরিত মানবতার মহান অগ্রদূত হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। যার অমীয় সূধা পান করে তৃপ্ত হয়েছেন হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ, হযরত ইবনে মাসউদ রাঃ, হযরত আবু হুরায়রা রাঃ। সৃষ্টি হয়েছেন হযরত ইমাম আবু হানিফা, ইমাম শাফেয়ী, ইমাম মালিক, ইমাম আহমদ রাহিমাহুমুল্লাহু আলাইহিম প্রমুখ আইম্মায়ে কেরাম। কওমী মাদ্রাসা প্রকৃত আদর্শ মানব তৈরীর সুনিপুণ কারখানা। যে কারখানা থেকে তৈরী হয়েছেন হযরত ইমাম গাজালী, মুহাদ্দিসে দেহলভী, মুহাজিরে মাক্কী রাহিমাহুমুল্লাহু আলাইহিম এর মত বিখ্যাত ব্যক্তিরা। যারা জাতির ক্রান্তিলগ্নে ইংরেজ বেনিয়াদের হাত থেকে ধর্ম দেশ ও জাতিকে বাঁচাতে গড়ে তুলেন “দারুল উলূম দেওবন্দ” মাদ্রাসা এবং দারুল উলূম দেওবন্দকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে হাজার হাজার কওমী মাদ্রাসা। দেশ ও ধর্ম প্রিয় এই আলেমগনের রোনাজারি ...

ইসলামে নারীর সম্মান ও মর্যাদা এবং অধিকার ও সামাজিক দায়িত্ব

ছবি
মানুষ সামাজিক জীব, অন্যদিকে প্রকৃতির অংশ। তাই মানুষকে জীবন ধারণ, বেঁচে থাকা ও অস্তিত্ব রক্ষার জন্য প্রাকৃতিক ও সামাজিক উভয় বিধানই মেনে চলতে হবে। প্রাকৃতিক বিধান লঙ্ঘন করলে ধ্বংস অনিবার্য। আর সামাজিক বিধান ভঙ্গ করলে নেমে আসে বিপর্যয়। সামাজিক নিয়মগুলো প্রকৃতি থেকে মানুষের লব্ধ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার আলোকে গড়ে ওঠে। নারী বিষয়ক বিধানসমূহের মধ্যে ধর্মীয় বিধানই শ্রেয় : ইসলামের মহাগ্রন্থ আল কুরআনে ‘নিসা’ অর্থাৎ ‘মহিলা’ শব্দটি ৫৭ বার এবং ‘ইমরাআহ’ অর্থাৎ ‘নারী’ শব্দটির ২৬ বার উল্লেখ হয়েছে। পবিত্র কোরআনে ‘নিসা’ তথা ‘মহিলা’ শিরোনামে নারীর অধিকার ও কর্তব্যসংক্রান্ত একটি স্বতন্ত্র বৃহৎ সূরাও রয়েছে। এ ছাড়া কোরআনের বিভিন্ন আয়াত ও হাদিসে নারীর অধিকার, মর্যাদা ও তাদের মূল্যায়ন সম্পর্কে সুস্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে। ইসলাম নারীর ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করেছে। দিয়েছে নারীর জান-মালের নিরাপত্তা ও সর্বোচ্চ সম্মান। নারীর শিক্ষা : নারীদের তালিম তালবিয়ার ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে আছে, তোমরা তাদের (নারীদের) সঙ্গে উত্তম আচরণ করো ও উত্তম আচরণ করার শিক্ষা দাও। [সূরা-৪ নিসা, আয়াত: ১৯]। মহানবী (সা.) ঘোষণা করেন, যার রয়েছ...

একটি সুন্দর জীবনবৃত্তান্ত (CV) তৈরীর কৌশল

আপনার জীবনবৃত্তান্ত (CV) হচ্ছে একজন সম্ভাব্য চাকুরীদাতার কাছে একজন চাকুরীপ্রার্থী হিসাবে উপস্থাপন করার প্রাথমিক মাধ্যম ৷ কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় চাকুরীপ্রার্থীরা তাদের জীবনবৃত্তান্ত সুন্দর এবং সঠিকভাবে তৈরী করার ব্যপারে গুরুত্ব প্রদান করে না ৷ ফলশ্রুতিতে অনেক যোগ্য প্রার্থীই Job Interview তে ডাক পায় না এবং যোগ্যতা প্রমানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয় ৷ আপনার জীবনবৃত্তান্ত (CV) তৈরীর আগে যে সকল বাস্তবতার দিকে নজর রাখবেন--- § একজন চাকুরীদাতা গড়ে একটি জীবনবৃত্তান্ত (CV)-এর উপর ৩০ সেকেন্ডের বেশী সময় দেয় না ৷ সুতরাং এটি হতে হবে সংক্ষিপ্ত ৷ তথ্যগুলোর উপস্থাপন হতে হবে সুস্পষ্ট ৷ অপ্রয়োজনীয় বা অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিহার করতে হবে ৷ § একজন অনভিজ্ঞ/সদ্য পাস করা চাকুরীপ্রার্থীর জীবনবৃত্তান্ত এক থেকে দুই পাতার বেশী হওয়া কোনভাবেই উচিত্ নয় ৷ § আপনার জীবনবৃত্তান্ত হচ্ছে আপনার নিজেকে বিপণন করার মাধ্যম ৷ সুতরাং এটি হতে হবে আকর্ষণীয় ৷ তবে চটকদার কোন কিছু যেমন রঙিন কাগজ বা রঙিন কালি ব্যবহার করবেন না ৷ কোন কিছু Highlight করতে হলে সেটিকে Bold, italic বা underline করতে পারেন ৷ § মনে রাখবেন, আ...

ইসলামের দৃষ্টিতে হাস্য-রসিকতার সীমারেখা

টেনশন, হতাশা, বিষাদগ্রস্ততা দূর করার জন্যে হাসি-রসিকতা একটি ভালো উপাদান। মানসিক প্রফুল্লতার জন্যেও হাস্যরসের যথেষ্ট উপযোগিতা রয়েছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো রসিকতার সীমা মেনে চলা। সীমা লঙ্ঘন হয়ে গেলে অনেকের মনেই আঘাত লাগতে পারে। তাই সীমারেখাটি আগে জানতে হবে এবং পরে তা মানতে হবে। মানসিক স্বস্তি ও সতেজতা আল্লাহর একটি অনুগ্রহ। যার ভেতরে এই সতেজতা বিদ্যমান সে নিঃসন্দেহে ভাগ্যবান। সতেজ মানুষেরা আনন্দ ও প্রশান্তিময়য জীবন যাপন করে। তাঁরা আল্লাহ এবং তাঁর রহমতের ব্যাপারে আশাবাদী। তাঁরা তাঁদের দুঃখ-কষ্টগুলোকে সৌভাগ্যের সোপান বলে মনে করে। ইসলামের মতো একটি মুক্তিদাতা দ্বীন আনন্দময় ও আশাবাদী মনের ব্যাপারে উৎসাহিত করে। রাসূলে খোদা (সা.) এর পুরো জীবনটাই ছিল চমৎকার এইসব গুণাবলিতে সমৃদ্ধ। ইসলাম স্বল্প-ধৈর্য, অলসতা, বিমর্ষতা, বিষন্নতাপূর্ণ মানুষ বিশেষ করে আশাহীন ব্যক্তিকে পছন্দ করে না। পক্ষান্তরে সক্রিয়, সচেষ্ট, আশাবাদী এবং হাসিখুশিময় লোকজনকে পছন্দ করে। ইসলাম সুন্দর এবং হাসিখুশি আচরণকে স্বাগত জানায় যাতে মুসলমানদের মাঝে আত্মিক প্রশান্তি বিরাজ করে। অপরদিকে বিষাদ-বিষন্নতা এবং হতাশার মতো বাজে...

আল্লামা আহমদে শফী'র "জীবন ও র্কম

ছবি
আল্লামা শাহ আহমদ শফী সাহেব সৃষ্টির সূচনাকাল থেকেই আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্কচ্যুত মানবজাতিকে সত্য, সুন্দর কল্যাণ ও মুক্তির আলোকিত তুলে আনার জন্য ওয়াজ-নসিহত, শিক্ষা ও তরবিয়্যতের মিশনে নিয়োজিত থেকেছেন নবী-রাসূলের উত্তরসূরি আলিম-ওলামা, পীর-মাশায়েখ, অলি-আউলিয়া। বিষয়টির দিকে ইঙ্গিত করে মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন :  ’(হে মুহাম্মদ সা.) আপনি (মানবজাতিকে) হিকমাত ও সুন্দর উপদেশ প্রদানের মাধ্যমে আপনার প্রভুর পথে আহবান করুন।’ আল্লাহ প্রদত্ত এ দায়িত্ব পালনকে জীবনের প্রধান লক্ষ্যরুপে নির্ধারণ করেছেন এবং উদ্দেশ্যকে সফল করতে পার্থিব সম্পদ-ঐশ্বর্য, সুখ-স্বাচ্ছন্দ ও যাবতীয় লোভ-লালসা, ভয়ভীতি, তিরস্কার-ভৎর্সনা উপেক্ষা করে হকের দাওয়াতী মশাল প্রজ্জ্বলিত রেখেছেন। কেয়ামত পর্যন্ত ইনশা’আল্লাহ এই প্রদীপ আলো ছড়াবে। এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করেছেন,  ’আমার উম্মতের একটি দল সর্বাবস্থায় সত্যেও ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে, শত্রুরা তাদেও কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।’  সুতরাং কোনো শতাব্দী, কোনো যুগ সত্যপন্থী এই পবিত্র দলের তৎপরতাবিহীন থাকবে না। প্রত্যেক যু...

খোদা হাফেজ বলা কি না জায়েজ?।

খোদা হাফেজ না বলে আল্লাহ হাফেজ বলাটা উত্তম। কিন্তু না জায়েজ বা বেদআত নয়। যারা খোদা বলাকে বেদআত বা না জায়েজ বলেন, তাদের বক্তব্যটি বিশুদ্ধ নয়। কারণ আল্লাহ তাআলাকে অন্য ভাষায় এমন শব্দে ডাকা জায়েজ, যে শব্দে আর কাউকে ডাকা হয় না। সেই সাথে এটা অন্য কোন ধর্মের ধর্মীয় কোন নাম নয়। (আল ইয়াওয়াক্বীত ওয়াল জাওয়াহীর-৭৮, ফাতওয়া আলমগীরী-৬/৪৪৬} এ মূলনীতির আলোকে খোদা শব্দটি আল্লাহ তাআলার নাম হিসেবে বাংলা, উর্দু, হিন্দিতে অনুবাদ হিসেবে বলাতে কোন সমস্যা নেই। কারণ খোদা শব্দটি ইসলাম ধর্ম ছাড়া অন্য কোন ধর্মের কোন ধর্মীয় শব্দ নয়। সেই সাথে এর দ্বারা আমরা কেবল আল্লাহকেই বুঝে থাকি। অন্য কোন সত্বাকে বুঝি না ।  পক্ষান্তরে বিষ্ণু অর্থ রব, এবং ব্রাহ্মণ অর্থ সৃষ্টিকর্তা হলেও এটা ইসলামি কোন শব্দ নয়। সেই সাথে এ শব্দ দু ’ টি হিন্দুদের ধর্মীয় প্রতিক। তাই এ শব্দে আল্লাহকে ডাকা জায়েজ নয়। পক্ষান্তরে খোদা শব্দটি। এটা নিরেট ইসলামি শব্দ। এর দ্বারা অন্য কোন ধর্মকে বুঝায় না। বুঝায় না আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন সত্বাকেও। তাই খোদা বলে আল্লাহকে বুঝাতে কোন সমস্যা নেই। প্রথম দলিল ও তার খন্ডন যারা খোদা বলা না জায়েজ বলে থাকেন তাদ...

আল্লাহ্ কে খোদা বলা যাবে কি??

মাঝেমধ্যে নতুন নতুন চিন্তা ও মতবাদ সমাজে ছড়ায়, বিস্তার লাভ করে। সবগুলো যে খারাপ, তা না। কিছু চিন্তা ভালোও হতে পারে। আবার অনেক চিন্তাই খারাপ। কেউ কেউ বলছে, আল্লাহ তাআলাকে খোদা বলা যাবে না। অতি উৎসাহী অনেকে শিরক বলেও আখ্যায়িত করতে কুণ্ঠাবোধ করছে না। তারাই বলছে, নামাজকে সালাতই বলতে হবে, নামাজ বলা যাবে না। নামাজ বলা নাজায়েয ও বিদআত। আসলে কুরআন-সুন্নাহর পূর্ণ জ্ঞান ও বোঝশক্তি না থাকলে, ফিকহ ও উসুলে ফিকহ এবং মুজতাহিদ ইমামদের গবেষণাপত্রগুলো আত্মস্থ না হলে এসব বিভ্রান্তি দেখা দেওয়া অমূলক কিছু নয়। শরিয়তের মৌলিক মেজাজ না বুঝলে পদে পদে সমস্যা সৃষ্টি হওয়াটাই স্বাভাবিক। আল্লাহ তাআলার ৯৯টি গুণবাচক নাম রয়েছে। যা স্পষ্ট হাদিসে উল্লেখ আছে। এগুলো ছাড়াও আরও কিছু নাম রয়েছে। সেগুলো দ্বারাও তাকে ডাকা যায়। এগুলো তো আরবি নাম। আরবি ছাড়াও পৃথিবীর যে কোনো ভাষায় আল্লাহকে বোঝানোর জন্যে যে নাম প্রচলিত তা দিয়ে তাকে ডাকতে কোনো সমস্যা নেই। যদি ফার্সি খোদা বলা নাজায়েজ হয় তাহলে বাংলায় সৃষ্টিকর্তা, প্রভু ইত্যাদি বলা কী হবে? শত শত বছর ধরে ফার্সি ভাষায় পণ্ডিত ফুকাহায়ে কেরাম ও মুসলিম মিল্লাত আল্লাহকে খোদা বলে সম্ব...

এটি হাদীস নয়: আঠারো হাজার মাখলুকাত

উপরের কথাটি লোকমুখে এতই প্রসিদ্ধ যে, অনেকের কাছে তা কুরআন-হাদীসের বাণীর মতো স্বতঃসিদ্ধ। কিন্তু মাখলুকাতের এই নির্দিষ্ট সংখ্যা না কুরআনে আছে, না কোনো সহীহ হাদীসে। বাস্তবতা হল, আল্লাহ তাআলা অগণিত মাখলুক পয়দা করেছেন। জলে ও স্থলে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির মাখলুক আল্লাহর অসীম কুদরতের প্রমাণ। মানুষের জানার বাইরেও রয়েছে অসংখ্য মাখলুক। আল্লাহ তাআলা কত ধরনের মাখলুক সৃষ্টি করেছেন তার নির্দিষ্ট সংখ্যা সহীহ হাদীসে বলা হয়নি। একটি ‘মুনকার’ বর্ণনায় এর সংখ্যা ‘এক হাজার’ বলা হয়েছে। কিন্তু অনেক মুহাদ্দিস বর্ণনাটিকে মাওযূ বা জাল বলে আখ্যা দিয়েছেন। (আলমাওযূআত, ইবনুল জাওযী ২/২১৬; আলফাওয়াইদুল মাজমুআ পৃ. ৪৫৮-৪৫৯) এছাড়া এই সংখ্যা সম্পর্কে কিছু মনীষীর উক্তিও রয়েছে। যেমন মারওয়ান ইবনুল হাকামের কথামতে সতের হাজার জগত রয়েছে। আর আবুল আলিয়ার অনুমান অনুযায়ী চৌদ্দ হাজার কিংবা আঠারো হাজার মাখলুকাত আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন। এই বিভিন্ন সংখ্যা কিছু মনীষীর উক্তিমাত্র, হাদীস নয়। দ্বিতীয়ত তাদের বক্তব্য থেকেও অনুমিত হয় যে, নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা বোঝাতে নয়; বরং আধিক্য বোঝাতেই তারা এ সব কথা বলেছেন। তাও আবার অনুমান করে। এই কার...

বিদায়! বিদায়! (কবিতা)

বিদায়! বিদায়!                                                              এম,এ,এইচ,ইরফান বিদায়! বিদায়! একি কলরব ধ্বনিছে বাতাসে ক্রন্দন ভরা অক্ষিপট, ভাসাইছে সবাই ঝর্ণার ধারা অধর পুষ্প নাহি ফুটে, মুখে সবার বিষণ্ণতা আজি মোদের বিদায় লগ্ন, কহিছে কৃষ্ণপাতা। বিদায় ঘণ্টা তাল তুলেছে ঢং ঢং করুণ তানে সাত বছরের লালিত মাতৃক্রোড় ছেড়ে পাড়ি জমাব আজ জীবন উচ্ছাশার আরেক পথ পানে। অতীত ফেলি ভাবি চিন্তায় নিমগ্ন সভায় একি নিয়ম নীতি সবার, বুঝি না আমি। কত স্মৃতি হাসি উল্লাস মাখা দিন মিশে আছে এই মাদ্রাসায় প্রতিটি পাথর-বেঞ্চ-ঘণ্টা সবার মাঝে আমাদের ভালবাসায় আজ ছাড়িতে হবে এসব, দিতে হবে বলি, একি ব্যাথা। রচিত হবে স্মৃতির মঠ, হবে কি আর কখনো এভাবে আসা? হৃদয় প্রশান্ত ব্যাথায় বলে, সাহারার তপ্ত বালি কেন আসিল এ বিদায় লগন, কেন হল সৃষ্টি? কত স্মৃতি কত কথা আজ বলে ধূসর মরুভূমি অলস মন যেতে নাহি চায়, ভু...

বিদায় মাদ্রাসা

বিদায় মাদ্রাসা                                               - এম,এ,এইচ,ইরফান অনেক বছর ছিলাম মাদ্রাসা তোমার বুকে আর না -আসিব আমি তোমারই মাঝে। ব্যার্থ হয়োনা যেন, তুমি আমাকে খুঁজে।। আমি চলে গেলে আসিবে নতুন জন। তারে তুমি করে নিও একান্ত আপন।। বিদায়ের স্মৃতি বড় বেদনা দায়ক। আমি চেয়েছিনু তব স্বপ্নের নায়ক।। বহু আশা নিয়ে এসেছিনু তব দ্বারে। শত ব্যাথা বুকে নিয়ে যাচ্ছি ফিরে।। তোমাকে মনে থাকবে মোর আমরণ। যতকাল বেঁচে থাকি করিব স্মরণ।। বিদায় বেলায়, আমি তাই বলে যায়। অন্যায় যদি করে থাকি তোমার কাছে, সব টুকু ফেলে দিও মন থেকে মুছে। এ জীবনে যত দুঃখ যাবে সব ঘুচে।।

বিদায় (কবিতা)

বিদায়!                             -এম,এ,এইচ, ইরফান বিদায় সেতো সুখের বর্তা নয় বিদায় সেতো অনেক কষ্টের হয়, যখনি সামনে উচ্চারিতো হয় বিদায় তখনি মন ভেঙ্গে পড়ে কান্নায়। রাশি রাশি ভারা ভারা স্মৃতি মন কিছুতেই দিতে চায়না ইতি, বিদায় সেতো এক সাগর অশ্রুজল যেখানে দিবা-রাত্রি করে কলকল। যখনি আসে নিষ্ঠুর বিদায়ের পালা মনের গভিরে ক্ষণে ক্ষণে বেড়ে যায় জালা, যখনি সামনে বাজে বিদায়ের ঘন্টা  ভেবে ক্লান্ত হয় এই অবুজ মনটা। বিদায় সেতো চলে যাওয়ার বেদনা এই জন্যে মনকে বলি তুমি আর কেদোনা।

বিদায় : জীবনের অনিবার্য বাস্তবতা

ছবি
এম,এ,এইচ,ইরফানঃ তিন অক্ষরের ছোট্ট একটি শব্দ-বিদায়। মাত্র তিন অক্ষর। কিন্তু শব্দটির আপাদমস্তক বিষাদে ভরা। শব্দটা কানে আসতেই মনটা কেন যেন বিষণ্ণ হয়ে ওঠে। এমন কেন হয়? কারণ এই যে,বিদায় হচ্ছে বিচ্ছেদ। আর প্রত্যেক বিচ্ছেদের মাঝেই নিহিত থাকে নীল কষ্ট। বিদায় জীবনে শুধু একবারই নয়, এক জীবনে মানুষকে সম্মুখীন হতে হয় একাধিক বিদায়ের। সে-ই যে জন্ম লগ্ন থেকে বিদায়ের সূচনা, তারপর জীবন পথের বাঁকে বাঁকে আরো কত বিদায় যে অনিবার্য হয়ে আসে...। মানবশিশু ভুমিষ্ট হয়েই কাঁদতে থাকে। কেন সে কাঁদে? সে তো কাঁদবেই। এতদিন মায়ের নাড়ির সঙ্গে তার যে বন্ধন ছিল সেটি যে আজ ছিন্ন হল। এভাবে জীবনের পরতে পরতে ছিন্ন হয় আরো কত প্রিয় বন্ধন! শিক্ষাজীবনের সমাপ্তিতে সহপাঠী ও প্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বিদায় নেয়ার বিষয়টিও এমনি এক নিবিড় বন্ধন ছিন্ন হওয়া, যা খুব সহজে ভোলা যায় না। তবে এ বিদায়ের বেলায় কষ্টের মাঝেও এক রকম আনন্দ থাকতে পারে যদি সান্তনার সংকট না থাকে। এই সান্তনা শিক্ষাজীবনে সফলতার সান্ত্বনা। পক্ষান্তরে,  যার   সান্ত্বনার সংকট থাকে-অর্থাৎ বিদায়যাত্রী যদি পেছনে তাকিয়ে দেখে যে...