পোস্টগুলি

2017 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ভয় আর সম্মান দুটো ভিন্ন জিনিস ।

ছবি
        যে লোকটাকে দেখে শ্রদ্ধায় মাথা নুয়ে আসে সেটা সম্মান, আর যাকে দেখে বাধ্য হয়ে মাথা নোয়াতে হয় সেটা ভয় ।  . ভাত ছিটালে হয়তো কাকের অভাব হয় না কিন্তু টাকা ছিটিয়ে বা ক্ষমতার ভয় দেখিয়ে সম্মানিত হওয়া যায় না । যদি তাই হতো এরশাদ সিকদার, নূর হোসেন কিংবা অফিসের পেট মোটা লোকটি সম্মানিত ব্যক্তি হতে পারতো ।  . আপনার প্রতিপত্তি বা ক্ষমতা থাকলেই আপনি সম্মানিত নয় । আপনার প্রতি সম্মান দেখানোটা মেকি বা ভয় মিশ্রিত । অপর দিকে যার চুলোয় নিয়মিত হাড়ি উঠে না সেই দরিদ্র প্রাইমারি স্কুলের মাস্টার কিংবা মধ্যবিত্ত কলেজের প্রফেসর কিন্তু সম্মানিত ব্যক্তি । তাকে দেখে অনেক ছাত্র ছাত্রীই ভক্তি সহকারে সালাম দিবে কিন্তু প্রভাবশালী বা ক্ষমতাধর ব্যক্তির প্রতি সালাম বা সম্মান দেখানোটা লৌকিকতা মাত্র । সালাম দেওয়ার পরেই মনে মনে বললে তুই তো একটা সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ, ঘুষ খোর পাবলিকের টাকা মেরে খাওয়া নেতা, তুই জাহান্নামে যা ।  . শ্রদ্ধা বা সম্মান জোর করে পাওয়া যায় না সেটা ভেতর থেকে আসে । ভয় দেখিয়ে কখনও সম্মানিত হওয়া যায় না বড় জোর অনিচ্ছা কৃত একটি সালাম পেতে পারেন মাত্...

ইমামের পিছনে মুকতাদী সূরা ফাতিহা পড়বে কি পড়বেনা

ছবি
কুরআন মাজীদ ও হাদীস শরীফ থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, জামাআতের নামাযে মুকতাদী ইমামের পিছনে সুরা ফাতিহা বা অন্য কোন সূরা পড়বে না। অধিকাংশ সাহাবী ও তাবেঈনের মতও হলো সূরা ফাতিহা না পড়া। হযরত ইমাম আবু হানিফা রহ.,হযরত ইমাম মালেক রহ. ও হযরত ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহ. এই তিন জন ইমাম এ ব্যপারে একমত যে মুকতাদীর জন্য সুরা ফাতিহা পড়া জরুরী নয়। তবে এ ব্যপারে ইমাম শাফেয়ী রহ. জোহর ও আসরের নামাযে কেরাত পড়া ফরজ বলে মতামত প্রকাশ করেছেন। কিন্ত বর্তমান জমানায় মাযহাব বিরোধী তথাকথিত আহলে হাদীস সম্প্রদায়ের লোকেরা এ ব্যপারে খুব বাড়াবাড়ির শিকার। সর্ব সাধারণকে তারা এ বলে ধোকা দিচ্ছে যে, সুরা ফাতিহা না পড়লে কোন মুকতাদীর নামাযই হবে না। মুকতাদীর জন্য বিধান হলো সূরা ফাতিহা না পড়া এ সম্পর্কে দলীল প্রমাণ নিম্নে পেশ করা হল। কুরআনের বক্তব্য: মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআন মাজিদে ইরশাদ করেন, {وَإِذَا قُرِئَ الْقُرْآنُ فَاسْتَمِعُوا لَهُ وَأَنْصِتُوا لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ} [الأعراف: 204] অর্থাৎ আর যখন কুরআন তেলাওয়াত করা হয় তখন তোমরা কান পেতে অত্যন্ত মনোযোগের সাথে তা শ্রবন কর এবং নীরব থাক, যেন তোমরা র...

সুখী দাম্পত্যের চাবিকাঠি

ছবি
হযরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  ইরশাদ করেছেন خَيْرُكُمْ خَيْرُكُمْ لأَهْلِهِ وَأَنَا خَيْرُكُمْ لأَهْلِي তোমাদের মাঝে সে সবচে’ ভালো, যে তার পরিবারের জন্য ভালো। আর আমি আমার পরিবারের জন্য সবারচে’ ভালো। Ñজামে তিরমিযী ২/২২৮, হাদীস ৩৮৯৫; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ১৪২ হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন أَكْمَلُ الْمُؤْمِنِينَ إِيمَانًا أَحْسَنُهُمْ خُلُقًا، وَخَيْرُكُمْ خَيْرُكُمْ لِنِسَائِهِمْ  . সবচে’ কামিল মুমিন সে, যার স্বভাব ও আচরণ সবচে’ ভালো। আর তোমাদের মাঝে শ্রেষ্ঠ সে, যে তার স্ত্রীর জন্য শ্রেষ্ঠ। Ñজামে তিরমিযী ১/২১৯, হাদীস ১১৬২ ব্যাখ্যা : এ বিষয়ে আরো অনেক হাদীস রয়েছে, যা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, কারো ভালো-মন্দের একটি মাপকাঠি হল স্ত্রীর সাথে তার আচরণ। আল্লাহ তাআলা বৈবাহিক সম্পর্র্ককে মিয়াঁ-বিবি উভয়ের জন্য শান্তি ও পবিত্রতার মাধ্যম বানিয়েছেন এবং এ মধুর সম্পর্ককে তাঁর বিশেষ নিআমতসমূহের মধ্যে গণ্য করেছেন। মিয়াঁ-বিবি উভয়ে যদি একে অপরের হকের বিষয়ে খেয়াল রাখে, তাহলে...

পথিক! তুমি পথ হারিয়েছ!

ছবি
বান্দার প্রতি আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহ অসীম। বান্দাকে তিনি দান করেছেন অসংখ্য নেয়ামত। তাঁর বড় নেয়ামতসমূহের একটি পোশাক, যার কথা আল্লাহ তাআলা কুরআন মজীদে বলেছেন। পোশাক হচ্ছে নর-নারীর অঙ্গের ভূষণ এবং লজ্জার আবরণ। আল্লাহ রাববুল আলামীনের নিকট বান্দার পোশাক-শোভিত রূপটিই পছন্দনীয়। তাই বিশেষভাবে ইবাদতের সময় তিনি বান্দাকে আদেশ করেছেন যেন সে পোশাক-সৌন্দর্য গ্রহণ করে।  পক্ষান্তরে শয়তানের কাছে পছন্দনীয় হচ্ছে মানুষের নগ্ন ও বিকৃত রূপ। আর তা হবেই না কেন, সে তো আদম সন্তানের প্রকাশ্য দুশমন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা কার পছন্দ গ্রহণ করব-রাহমানের, না শয়তানের? দুই. পোশাকের মানদন্ডে বিচার করলেও বোঝা যায় পশ্চিমা সভ্যতা হচ্ছে শয়তানের প্রতিভূ। আর এ কারণেই পশ্চিমা আদর্শের অনুসারীদের পোশাক দিন দিন সংক্ষিপ্ত হচ্ছে। প্রথমে পোশাক ছিল হাটুর নীচ পর্যন্ত, এরপর তা উঠে এল হাটুর উপরে। এরপর এল প্যান্ট-ফতুয়া, এল নেটের জামা, এল টাইটস-সর্টস। যেন হাদীসে বর্ণিত ‘পোশাক পরিহিতা নগ্ন নারী’র দৃষ্টান্ত একের পর প্রকাশিত হতে লাগল, যাদের সম্পর্কে বলা হয়েছে, তারা বেহেশতের ঘ্রাণটুকুও পাবে। বেদনার বিষয় এই যে, ...

খতিবে আজম আল্লামা হাবীবুল্লাহ্ মিসবাহ (রঃ) এর বয়ান,

ছবি
ভিডিও দেখুন। আরো ওয়াজ দেখুন-শুনুন।

উচ্চস্বরে জিকির করা কি নিষেধ?

ছবি
এম,এ,এইচ,ইরফানঃ            এক বড় ভাইয়ের সাথে জিকিরের আলোচনা করতেগিয়ে মনে পড়েগেলো রাসূল (সাঃ) এর একটা বাণী। আসলে  নামায, কুরআন তিলাওয়াত বা জিকির উচ্চস্বরে পড়লে যদি কারো ঘুমেরর বা অন্যকোন ক্ষতি না হয় তাহলে জোরে করা জায়েজ। বরং ক্ষেত্র বিশেষে অধিক ফলপ্রসু। মনের গোনাহের আস্তরণ তোলার জন্য জিকির জোরে করলেই প্রভাব বেশি হয়। আস্তে নয়। আর জোরে জিকির করা সবক দেয়া হয় মনের রোগের চিকিৎসা হিসেবেই। জোরে জিকিরকে আবশ্যকীয় মনে করাটা যেমন বিদআত। তেমনি কারণ ছাড়া অহেতুক এটাকে বেদআত বলাটাও নিষিদ্ধ। তবে সর্বাবস্থায়ই জিকির আস্তে করাই উত্তম। হাদীসে এসেছে- عن أبي سعيد الخدري عن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال : أكثروا ذكر الله عز و جل حتى يقال  إنه مجنون (مسند عبد بن حميد، من مسند أبي سعيد الخدري، رقم الحديث- 925) অনুবাদ-হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-তোমরা অধিক পরিমাণ আল্লাহর জিকির কর যেন লোকেরা তোমাদের পাগল বলে। (মুসনাদে আব্দ বিন হুমাইদ, হাদীস নং-৯২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৮১৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১১৬৫৩, শুয়াবুল ঈমান, ...

কন্যা সন্তান আল্লাহ্‌র রহমত

ছবি
অনেক ভাইকে দেখা যায়, কন্যা সন্তান জন্ম নিলে তারা বেজায় নাখোশ হন। তারা কি ভেবে দেখেছেন তাদের এ মনোভাব কাদের সঙ্গে মিলে যায়? কন্যা সন্তান জন্ম নিলে তাতে রুষ্ট হওয়া মূলত জাহেলী চরিত্রের প্রকাশ, আল্লাহ তা‘আলা যার সমালোচনা করেছেন পবিত্র কুরআনে। ইরশাদ হয়েছে : ﴿وَإِذَا بُشِّرَ أَحَدُهُم بِٱلۡأُنثَىٰ ظَلَّ وَجۡهُهُۥ مُسۡوَدّٗا وَهُوَ كَظِيمٞ ٥٨ يَتَوَٰرَىٰ مِنَ ٱلۡقَوۡمِ مِن سُوٓءِ مَا بُشِّرَ بِهِۦٓۚ أَيُمۡسِكُهُۥ عَلَىٰ هُونٍ أَمۡ يَدُسُّهُۥ فِي ٱلتُّرَابِۗ أَلَا سَآءَ مَا يَحۡكُمُونَ ٥٩﴾ [النحل: 58-59 ] ‘আর যখন তাদের কাউকে কন্যা সন্তানের সুসংবাদ দেয়া হয়; তখন তার চেহারা কালো হয়ে যায়। আর সে থাকে দুঃখ ভারাক্রান্ত। তাকে যে সংবাদ দেয়া হয়েছে, সে দুঃখে সে কওমের থেকে আত্মগোপন করে। আপমান সত্ত্বেও কি একে রেখে দেবে, না মাটিতে পুঁতে ফেলবে? জেনে রেখ, তারা যা ফয়সালা করে, তা কতই না মন্দ!’ {সূরা আন-নাহল : ৫৮-৫৯ }  রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কন্যাদের বড় ভালোবাসতেন। মেয়েরা ছিল তাঁর আদরের দুলালী। আজীবন তিনি কন্যাদের ভালো বেসেছেন এবং কন্যা সন্তান প্রতিপালনে উদ্বুদ্ধ করেছেন। আ...

মেয়ে জন্মের আনন্দ ও সৌভাগ্য :

ছবি
মহাপরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময় আল্লাহ তাআলা এই পৃথিবীতে মানব বিস্তারের পরিক্রিয়া হিসেবে পিতা-মাতা বা নর-নারীকে বাহ্যিক মাধ্যম বানিয়েছেন। কিন্তু সন্তান প্রজননে তাদের কোনো ক্ষমতা বা দখল নেই। এ বিষয়টি সম্পূর্ণ আল্লাহ তাআলার ইচ্ছা ও ক্ষমতার উপর নির্ভর। তিনিই কন্যা বা পুত্র সন্তান দান করেন। আবার কাউকে সন্তান থেকে বঞ্চিত করেন। এ মর্মে পবিত্র কুরআনে ঘোষণা হয়েছে- ‘নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের রাজত্ব একমাত্র আল্লাহ তাআলারই। তিনি যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন। যাকে ইচ্ছা কন্যা সন্তান এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন। অথবা তাদেরকে পুত্র ও কন্যা উভয় সন্তানই দান করেন। আর যাকে ইচ্ছা বান্ধ্যা করে দেন। নিশ্চয়ই তিনি সর্বজ্ঞ, ক্ষমতাধর।’ [সূরা শুরা-৪৯, ৫০] এই বৈচিত্রময় বণ্টনের মাঝে অবশ্যই আল্লাহ পাকের অপার কুদরত ও অসীম হেকমত নিহিত রয়েছে। তিনি প্রত্যেক মানুষের জন্য তাই মঞ্জুর করেন, যা তার জন্য মঙ্গল ও কল্যাণকর। সুতরাং পুত্র সন্তান যেমন নেয়ামত তেমনি কন্যা সন্তানও আল্লাহ তাআলার নেয়ামত ও অনুকম্পা। বরং উপরোক্ত আয়াতে কন্যা সন্তানের কথা পূর্বে উল্লেখ করাতে ইঙ্গিত রয়েছে, যে নারীর গর্ভ থেকে প্রথম কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহণ করব...

ইসলামের পর্দা-বিধান ও আমাদের অসতর্কতা

ইসলাম আল্লাহ পাকের মনোনীত দ্বীন। জীবনের এমন কোনো অঙ্গন নেই, যেখানে ইসলামের বিধান ও শিক্ষা নেই। সেই শিক্ষা ও বিধান যখন আমরা ভুলে যাই তখনই আমাদের উপর বিপর্যয় নেমে আসে। আখেরাতের ভয়াবহ শাস্তি তো আছেই, দুনিয়ার জীবনও বিপর্যস্ত হয়ে যায়। সম্প্রতি নারীনির্যাতন খুব বেড়ে গেছে, বিশেষত উঠতি বয়েসী মেয়েরা চরম নিরাপত্তাহীনতার শিকার। এটা এ সমাজের চরম ব্যর্থতা যে, নিজেদের মা-বোনকেও নিরাপত্তা দিতে পারছে না। এ অবস্থায় মা-বোনদেরকে গভীরভাবে ভাবতে হবে নিজেদের নিরাপত্তা সম্পর্কে। অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন প্রয়োজন অনেক বেশি সতর্কতা ও সচেতনতার। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক সত্য এই যে, বিপর্যয়ের সাথে পাল্লা দিয়েই যেন বেড়ে চলেছে আমাদের অবহেলা ও অসচেতনতা। বর্তমান নিবন্ধে চলমান সমাজচিত্রের কিছু অংশ ও আমাদের অবহেলার কিছু দিক পাঠকের সামনে তুলে ধরতে চাই। এক . আমার প্রতিবেশী একজন শিক্ষক। তাঁর কাছে পড়তে আসে অনেক ছেলেমেয়ে। ছোট ছোট মেয়েরা যেমন আসে তেমনি আসে উঠতি বয়সের কিশোরীরাও। ওদের অনেকেরই পোশাক এমন যে, আমি বিষণ্ণ বোধ করি। আমি ভাবি ওদের মায়েদের কথা। তাঁরা কীভাবে তাদের মেয়েদেরকে পুরুষ শিক্ষকে...

মুসলমানের পোশাক : কিছু মূলনীতি

ছবি
পোশাক-পরিচ্ছদ মানব জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, পোশাক যেমন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ঢেকে রাখা ও সৌন্দর্যের উপকরণ, তেমনি শরীয়তের দিক-নির্দেশনা মেনে তা ব্যবহার আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যম, কুরআন-হাদীসে অন্যান্য বিষয়াদির মতো লেবাস-পোশাক বিষয়েও হুকুম-আহকাম দেওয়া হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে পোশাক সম্পর্কিত দ্বীনী হেদায়াত ও শরীয়তের বিধি-বিধান বর্ণনা করেছেন এবং এ বিষয়ে সাহাবায়ে কেরামের তরবিয়ত করেছেন। আর সাহাবায়ে কেরামও নিজ নিজ ঘরে গিয়ে আল্লাহ ও রাসূলের নির্দেশ মতো স্ত্রী-কন্যা ও সন্তান-সন্ততির তরবিয়ত করেছেন। কারণ পোশাক-পরিচ্ছদের ভালো মন্দ মানুষের কাজ-কর্ম, আচার-আচরণ, চরিত্র ও নৈতিকতা তথা মানবিক জীবনের উপর বিরাট প্রভাব বিস্তার করে এবং অন্তর ও মন-মানসিকতায় গভীর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। তাই পোশাকের বিষয়টি এ রকম সাধারণ কোনো বিষয় নয় যে, একটি কাপড় কিনলাম এবং তা পরে নিলাম। বরং এক্ষেত্রে শরীয়তের দিক-নির্দেশনা মেনে চলা জরুরি। পোশাক যে অনেক বড় নেয়ামত তা বর্ণনা করে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন- يبنى ءادم قد انزلنا عليكم لباسا يورى سوءت...

পর্দা : বিধান ও কল্যাণ

ছবি
পর্দা-বিধান ইসলামী শরীয়তের পক্ষ থেকে সাধারণভাবে সমাজ-ব্যবস্থার এবং বিশেষভাবে উম্মতের মায়েদের জন্য অনেক বড় ইহসান। এই বিধানটি মূলত ইসলামী শরীয়তের যথার্থতা, পূর্ণাঙ্গতা ও সর্বকালের জন্য অমোঘ বিধান হওয়ার এক প্রচ্ছন্ন দলিল। পর্দা নারীর মর্যাদার প্রতীক এবং ইফফাত ও পবিত্রতার একমাত্র উপায়। অনেকে মনে করেন, পর্দা-বিধান শুধু নারীর জন্য। এ ধারণা ঠিক নয়। পুরুষের জন্যও পর্দা অপরিহার্য। তবে উভয়ের পর্দার ক্ষেত্রে পার্থক্য রয়েছে। যে শ্রেণীর জন্য যে পর্দা উপযোগী তাকে সেভাবে পর্দা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে কোনো ন্যায়নিষ্ঠ ব্যক্তিই কুরআন-সুন্নাহর পর্দা সম্পর্কিত আয়াত ও হাদীসসমূহ গভীরভাবে অধ্যয়ন করলে এই বাস্তবতা স্বীকার করবেন যে, ইসলামে পর্দার বিধানটি অন্যান্য হিকমতের পাশাপাশি নারীর সম্মান ও সমাজের পবিত্রতা রক্ষার জন্যই দেওয়া হয়েছে। এজন্য এই বিধানের কারণে প্রত্যেককে ইসলামের প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত। কৃতঘ্ন হয়ে এ বিধান সম্পর্কে অযথা আপত্তি করা উচিত নয়। আকবর এলাহাবাদী বলেন- প্রাশ্চাত্যের ও প্রাশ্চাত্য প্রভাবিত পুরুষদের অন্তরে পর্দা পড়ে যাওয়ার কারণে তারা এই বাস্তবতা অনুধাব...