পোস্টগুলি

2019 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

তাবলীগের বর্তমান সকল সমস্যার সমাধান ছয় উসূলের সঠিক চর্চার মাঝেই রয়েছে

তাবলিগ জামাতের বর্তমান সঙ্কট নিরসনের জন্য তাবলিগের ছয় উসূলের সঠিক চর্চা করাই যথেষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট হাদীস বিশারদ, মারকাযুদ দাওয়া আল ইসলামিয়া ঢাকা’র আমীনুত তালীম মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল মালেক সাহেব। গত ২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার মিরপুর মারকাযে ( মিরপুর-১১ কেন্দ্রীয় মসজিদ) শবগুজারির বয়ানে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে তাবলিগ জামাতের হাল নিয়ে আমরা বড় পেরেশানিতে আছি। এই পেরেশানির সমাধান তাবলিগের ছয় উসূলের মধ্যেই (ছয় নাম্বার) আছে। এখনো যদি এই ছয় উসূলের সঠিক চর্চা করা হয় তাহলে এই ফেতনা শেষ হয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ। তিনি বলেন,  ছয় নাম্বারের প্রথম কথা হলে লা-ইলাহ ইল্লাল্লাহ বা কালিমা।   অর্খাৎ ঈমান ও আকিদা। অথচ আজকে আকিদার বিষয়টি আমাদের কাছে সস্তা হয়ে গেছে। যদি কারো আকিদার মধ্যে বক্রতা এসে যায়, কেউ যদি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত থেকে দুরে সরে যায়, তাহলে আমরা এটাকে হালকাভাবে দেখছি। এটাকে কোন বিষয়ই মনে করি না। অথচ এটা অনেক মারাত্নক একটা বিষয়। কালিমার ব্যখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন,  কালিমার দুটি অংশ । প্রথম অংশ লা-ইলাহ ইল্লাল্লাহ তথা আল্লাহর একত্ববাদের কথা।...

আল্লাহর পথে দাওয়াত –হিকমাহ ও সুন্নাহ পদ্ধতি

ছবি
 সুন্নাত শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো: মুখ, ছবি, প্রতিচ্ছবি, প্রকৃতি, জীবন-পদ্ধতি, কর্মধারা ইত্যাদি। সাধারণভাবে সুন্নাত বলতে আমরা বুঝি ফরজ ও ওয়াজিবের পরবর্তী পর্যায়ের নেককর্ম যা করা অত্যাবশ্যকীয় নয়, তবে উচিত, উত্তম ও প্রয়োজনীয়। তবে হাদিস শরিফে এবং সাহাবি তাবেয়ীনগণের পরিভাষায় সুন্নাত বলতে বুঝানো হয় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সকল প্রকারের নির্দেশ, কথা, কর্ম, অনুমোদন বা এক কথায় তাঁর সামগ্রিক জীবনার্দশ। এ ছাড়া তাঁর সাহাবিদের কর্ম ও আদর্শও এই অর্থে সুন্নাত বলে অভিহিত হয়। সুন্নাতের অর্থ ও পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি এহইয়াউস সুনান গ্রন্থে। এ পুস্তিকার সংক্ষিপ্ত পরিসরে আমরা বলতে পারি যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামগ্রিক জীবন পদ্ধতিই সুন্নাত। যে কাজ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেভাবে করেছেন তা সেভাবেই করা তাঁর সুন্নাত। যা তিনি করেননি, অর্থাৎ বর্জন করেছেন তা না করা বা বর্জন করাই সুন্নাত। কোনো কর্ম পালন বা বর্জনের ক্ষেত্রে গুরুত্ব, পদ্ধতি, ক্ষেত্র, সময়, স্থান ইত্যাদি যে কোনো বিষয়ে সুন্নাতে...

ভালো বাসি বলবোনা আর।

ছবি
আমি তোমায় ভালোবাসি এ কথাটি আর বলবো না, বলেই বা কি লাভ বলো? যদিও লাভ-ক্ষতির হিসাব কষে ভালোবাসা হয় না; তাতে কি? অষ্টপ্রহর আমার চিন্তায় মগ্ন থাকো তুমি কোন কাজে মন বসে না তোমার। অথচ, হতভাগা এই আমি তোমার খোঁজ না নিয়েই দিব্যি কাটিয়ে দেই শতাব্দির পর শতাব্দী। মাঝে মাঝে আমার কি মনে হয় জানো? মনে হয়- কেন? কিসের জন্য এতো ভালোবাসো আমায়? আমার প্রতীক্ষায় বাড়ির উঠোনের কোণে জারুলগাছটি জড়িয়ে ধরে তোমার অনন্ত অপেক্ষা আমাকেও কাঁদায়, আমার সেই বোবাকান্না তোমায় ছুঁতে পারে কিনা তা আমি জানি না। তবে অলস বিকেলে আমার জন্য মেঠো পথের দিকে তাকিয়ে থাকা তোমার শূন্য দৃষ্টির মানে আমি বুঝি, তোমায় কাছে না পাওয়ার যন্ত্রণায় আমিও প্রতিনিয়ত গুমড়ে কাঁদি। তোমার ভালোবাসার তীব্রতা অনুভবে মাঝে মাঝে নিজেকে বড় অসহায় লাগে। পৃথিবীর সব মানুষের চাওয়া পূরণ হতে নেই; তা জানো নিশ্চই? আমিও না হয়, তাদেরই একজন হলাম। তোমার চোখের জলের প্রতিদান দেয়ার মতো ধনী আমি নই, তোমার ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্যতাও হারিয়েছি বহু আগেই, তাইতো তোমায় ভালোবাসি বলবো না আর।

পুরুষ ও মহিলাদের নামাজের পার্থক্য এবং অস্বীকারকারীদের প্রতারণা -

ভূমিকাঃ আল্লাহ্ তায়ালা মানুষ সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদতের জন্য। বিশেষ হেকমতের কারণেই মানুষকে দু'টি শ্রেণীভুক্ত করে সৃষ্টি করেছেন। পুরুষ ও নারী। তারা মানুষ হিসেবে সমান। তাদের মাঝে মানুষ হিসেবে কোনো তারতম্য নেই। তবে শারীরিক গঠন, সক্ষমতা, আকর্ষণ-বিকর্ষণ, নিরাপত্তা এবং সতর ও পর্দা সহ বেশ কিছু বিষয়ে বড় রকমের পার্থক্য রয়েছে। পার্থক্যের এই দিকটাকেও বাহ্যিক জীবন যাপনে যেমন গুরুত্ব দেয়া হয়েছে তেমনি ইবাদতের ক্ষেত্রেও কোনো কোনো পর্যায়ে স্পষ্ট করে দেয়া হয়েছে । ওইসব ইবাদতের অন্যতম হলো নামাজ। , নারী ও পুরুষের মধ্যকার নামাজের পার্থক্য নিয়ে বেশ বড় ধরণের বিভ্রান্তি পরিলক্ষিত হওয়াতে আমার এই ধারাবাহিক প্রবন্ধের বাসনা অধিক পরিমাণে লালায়িত হয়েছে। গ্রহণযোগ্য কোনো দলীল ও যুক্তির উপর নির্ভর না করেই অনেক মহল থেকে এই পার্থক্যকে অস্বীকারও করতে দেখা যাচ্ছে । তাই আমরা দেখবো নামাজ ছাড়াও অপরাপর মাস'আলার ক্ষেত্রে নারী - পুরুষের মধ্যকার কোনো পার্থক্য পাওয়া যায় কি না,,,, , , দেখা যাচ্ছে অধিকাংশ মাস'আলায় নারী ও পুরুষের হুকুম এক ; কিন্তু এমন অনেক মাস'আলা রয়েছে, যেখা...

নারী-পুরুষের নামাজের পার্থক্য

ছবি
নারী-পুরুষের নামাজের পার্থক্য নারী ও পুরুষ আল্লাহর সৃষ্টির দুই অংশ। সৌন্দর্য্যের দুই সংজ্ঞা। বিপরীতমুখী দুই চরিত্রের একত্রে মিলেমিশে বসবাস করার এক অনুপম নজির। শুধু বাহ্যিক সৃষ্টির দিক দিয়ে নয়, এ দুইয়ের মাঝে রয়েছে আচরণ ও চলাফেরার দিক থেকেও নানা ব্যবধান। তাই তারতম্য তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মাসয়ালার ক্ষেত্রেও। যেমন- নারীর পর্দা নিজেকে আবরণে, অপরদিকে পুরুষের পর্দা দৃষ্টির হেফাজতে। উচ্চস্বরে আজান দেবে পুরুষ, নারী হেফাজত করবে নিজ কণ্ঠ। এমনই দশদিকের মতো নারীদের নামাজের পদ্ধতিতেও রয়েছে ভিন্নতা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তো একই, তবে তাদের পর্দা ও আড়ালে থাকার বিবেচনায় সামান্য কিছু পার্থক্য রয়েছে। এখানে নামাজের পার্থক্যগুলো উল্লেখ করা হলো- ১. তাকবিরে তাহরিমার সময় নারীরা হাত তুলবে বুক বরাবর। বিপরীতে পুরুষরা হাত তুলবে কান বরাবর। হজরত ওয়াইল ইবনে হুজর (রা.) বলেন, আমি হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে হাজির হলাম, তখন তিনি আমাকে (অনেক কথার সঙ্গে একথাও) বললেন, হে ওয়াইল ইবনে হুজর! যখন তুমি নামাজ শুরু করবে তখন কান বরাবর হাত উঠাবে। আর মহিলা হাত উঠাবে বুক বরাবর। -আল মুজামুল কাবির, তা...