পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আল্লামা আহমদে শফী'র "জীবন ও র্কম

ছবি
আল্লামা শাহ আহমদ শফী সাহেব সৃষ্টির সূচনাকাল থেকেই আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্কচ্যুত মানবজাতিকে সত্য, সুন্দর কল্যাণ ও মুক্তির আলোকিত তুলে আনার জন্য ওয়াজ-নসিহত, শিক্ষা ও তরবিয়্যতের মিশনে নিয়োজিত থেকেছেন নবী-রাসূলের উত্তরসূরি আলিম-ওলামা, পীর-মাশায়েখ, অলি-আউলিয়া। বিষয়টির দিকে ইঙ্গিত করে মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন :  ’(হে মুহাম্মদ সা.) আপনি (মানবজাতিকে) হিকমাত ও সুন্দর উপদেশ প্রদানের মাধ্যমে আপনার প্রভুর পথে আহবান করুন।’ আল্লাহ প্রদত্ত এ দায়িত্ব পালনকে জীবনের প্রধান লক্ষ্যরুপে নির্ধারণ করেছেন এবং উদ্দেশ্যকে সফল করতে পার্থিব সম্পদ-ঐশ্বর্য, সুখ-স্বাচ্ছন্দ ও যাবতীয় লোভ-লালসা, ভয়ভীতি, তিরস্কার-ভৎর্সনা উপেক্ষা করে হকের দাওয়াতী মশাল প্রজ্জ্বলিত রেখেছেন। কেয়ামত পর্যন্ত ইনশা’আল্লাহ এই প্রদীপ আলো ছড়াবে। এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করেছেন,  ’আমার উম্মতের একটি দল সর্বাবস্থায় সত্যেও ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে, শত্রুরা তাদেও কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।’  সুতরাং কোনো শতাব্দী, কোনো যুগ সত্যপন্থী এই পবিত্র দলের তৎপরতাবিহীন থাকবে না। প্রত্যেক যু...

খোদা হাফেজ বলা কি না জায়েজ?।

খোদা হাফেজ না বলে আল্লাহ হাফেজ বলাটা উত্তম। কিন্তু না জায়েজ বা বেদআত নয়। যারা খোদা বলাকে বেদআত বা না জায়েজ বলেন, তাদের বক্তব্যটি বিশুদ্ধ নয়। কারণ আল্লাহ তাআলাকে অন্য ভাষায় এমন শব্দে ডাকা জায়েজ, যে শব্দে আর কাউকে ডাকা হয় না। সেই সাথে এটা অন্য কোন ধর্মের ধর্মীয় কোন নাম নয়। (আল ইয়াওয়াক্বীত ওয়াল জাওয়াহীর-৭৮, ফাতওয়া আলমগীরী-৬/৪৪৬} এ মূলনীতির আলোকে খোদা শব্দটি আল্লাহ তাআলার নাম হিসেবে বাংলা, উর্দু, হিন্দিতে অনুবাদ হিসেবে বলাতে কোন সমস্যা নেই। কারণ খোদা শব্দটি ইসলাম ধর্ম ছাড়া অন্য কোন ধর্মের কোন ধর্মীয় শব্দ নয়। সেই সাথে এর দ্বারা আমরা কেবল আল্লাহকেই বুঝে থাকি। অন্য কোন সত্বাকে বুঝি না ।  পক্ষান্তরে বিষ্ণু অর্থ রব, এবং ব্রাহ্মণ অর্থ সৃষ্টিকর্তা হলেও এটা ইসলামি কোন শব্দ নয়। সেই সাথে এ শব্দ দু ’ টি হিন্দুদের ধর্মীয় প্রতিক। তাই এ শব্দে আল্লাহকে ডাকা জায়েজ নয়। পক্ষান্তরে খোদা শব্দটি। এটা নিরেট ইসলামি শব্দ। এর দ্বারা অন্য কোন ধর্মকে বুঝায় না। বুঝায় না আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন সত্বাকেও। তাই খোদা বলে আল্লাহকে বুঝাতে কোন সমস্যা নেই। প্রথম দলিল ও তার খন্ডন যারা খোদা বলা না জায়েজ বলে থাকেন তাদ...

আল্লাহ্ কে খোদা বলা যাবে কি??

মাঝেমধ্যে নতুন নতুন চিন্তা ও মতবাদ সমাজে ছড়ায়, বিস্তার লাভ করে। সবগুলো যে খারাপ, তা না। কিছু চিন্তা ভালোও হতে পারে। আবার অনেক চিন্তাই খারাপ। কেউ কেউ বলছে, আল্লাহ তাআলাকে খোদা বলা যাবে না। অতি উৎসাহী অনেকে শিরক বলেও আখ্যায়িত করতে কুণ্ঠাবোধ করছে না। তারাই বলছে, নামাজকে সালাতই বলতে হবে, নামাজ বলা যাবে না। নামাজ বলা নাজায়েয ও বিদআত। আসলে কুরআন-সুন্নাহর পূর্ণ জ্ঞান ও বোঝশক্তি না থাকলে, ফিকহ ও উসুলে ফিকহ এবং মুজতাহিদ ইমামদের গবেষণাপত্রগুলো আত্মস্থ না হলে এসব বিভ্রান্তি দেখা দেওয়া অমূলক কিছু নয়। শরিয়তের মৌলিক মেজাজ না বুঝলে পদে পদে সমস্যা সৃষ্টি হওয়াটাই স্বাভাবিক। আল্লাহ তাআলার ৯৯টি গুণবাচক নাম রয়েছে। যা স্পষ্ট হাদিসে উল্লেখ আছে। এগুলো ছাড়াও আরও কিছু নাম রয়েছে। সেগুলো দ্বারাও তাকে ডাকা যায়। এগুলো তো আরবি নাম। আরবি ছাড়াও পৃথিবীর যে কোনো ভাষায় আল্লাহকে বোঝানোর জন্যে যে নাম প্রচলিত তা দিয়ে তাকে ডাকতে কোনো সমস্যা নেই। যদি ফার্সি খোদা বলা নাজায়েজ হয় তাহলে বাংলায় সৃষ্টিকর্তা, প্রভু ইত্যাদি বলা কী হবে? শত শত বছর ধরে ফার্সি ভাষায় পণ্ডিত ফুকাহায়ে কেরাম ও মুসলিম মিল্লাত আল্লাহকে খোদা বলে সম্ব...