পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মুসলমানের পোশাক : কিছু মূলনীতি

ছবি
পোশাক-পরিচ্ছদ মানব জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, পোশাক যেমন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ঢেকে রাখা ও সৌন্দর্যের উপকরণ, তেমনি শরীয়তের দিক-নির্দেশনা মেনে তা ব্যবহার আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যম, কুরআন-হাদীসে অন্যান্য বিষয়াদির মতো লেবাস-পোশাক বিষয়েও হুকুম-আহকাম দেওয়া হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে পোশাক সম্পর্কিত দ্বীনী হেদায়াত ও শরীয়তের বিধি-বিধান বর্ণনা করেছেন এবং এ বিষয়ে সাহাবায়ে কেরামের তরবিয়ত করেছেন। আর সাহাবায়ে কেরামও নিজ নিজ ঘরে গিয়ে আল্লাহ ও রাসূলের নির্দেশ মতো স্ত্রী-কন্যা ও সন্তান-সন্ততির তরবিয়ত করেছেন। কারণ পোশাক-পরিচ্ছদের ভালো মন্দ মানুষের কাজ-কর্ম, আচার-আচরণ, চরিত্র ও নৈতিকতা তথা মানবিক জীবনের উপর বিরাট প্রভাব বিস্তার করে এবং অন্তর ও মন-মানসিকতায় গভীর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। তাই পোশাকের বিষয়টি এ রকম সাধারণ কোনো বিষয় নয় যে, একটি কাপড় কিনলাম এবং তা পরে নিলাম। বরং এক্ষেত্রে শরীয়তের দিক-নির্দেশনা মেনে চলা জরুরি। পোশাক যে অনেক বড় নেয়ামত তা বর্ণনা করে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন- يبنى ءادم قد انزلنا عليكم لباسا يورى سوءت...

পর্দা : বিধান ও কল্যাণ

ছবি
পর্দা-বিধান ইসলামী শরীয়তের পক্ষ থেকে সাধারণভাবে সমাজ-ব্যবস্থার এবং বিশেষভাবে উম্মতের মায়েদের জন্য অনেক বড় ইহসান। এই বিধানটি মূলত ইসলামী শরীয়তের যথার্থতা, পূর্ণাঙ্গতা ও সর্বকালের জন্য অমোঘ বিধান হওয়ার এক প্রচ্ছন্ন দলিল। পর্দা নারীর মর্যাদার প্রতীক এবং ইফফাত ও পবিত্রতার একমাত্র উপায়। অনেকে মনে করেন, পর্দা-বিধান শুধু নারীর জন্য। এ ধারণা ঠিক নয়। পুরুষের জন্যও পর্দা অপরিহার্য। তবে উভয়ের পর্দার ক্ষেত্রে পার্থক্য রয়েছে। যে শ্রেণীর জন্য যে পর্দা উপযোগী তাকে সেভাবে পর্দা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে কোনো ন্যায়নিষ্ঠ ব্যক্তিই কুরআন-সুন্নাহর পর্দা সম্পর্কিত আয়াত ও হাদীসসমূহ গভীরভাবে অধ্যয়ন করলে এই বাস্তবতা স্বীকার করবেন যে, ইসলামে পর্দার বিধানটি অন্যান্য হিকমতের পাশাপাশি নারীর সম্মান ও সমাজের পবিত্রতা রক্ষার জন্যই দেওয়া হয়েছে। এজন্য এই বিধানের কারণে প্রত্যেককে ইসলামের প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত। কৃতঘ্ন হয়ে এ বিধান সম্পর্কে অযথা আপত্তি করা উচিত নয়। আকবর এলাহাবাদী বলেন- প্রাশ্চাত্যের ও প্রাশ্চাত্য প্রভাবিত পুরুষদের অন্তরে পর্দা পড়ে যাওয়ার কারণে তারা এই বাস্তবতা অনুধাব...

হিজাব ও পর্দা : কিছু সহজ-সরল কথা

পর্দা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। কুরআন মজীদের কয়েকটি সূরায় পর্দা-সংক্রান্ত বিধান দেওয়া হয়েছে। পর্দার বিষয়ে আল্লাহ তাআলা সকল শ্রেণীর ঈমানদার নারী-পুরুষকে সম্বোধন করেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আদেশ করেছেন তিনি যেন তাঁর স্ত্রীদেরকে, কন্যাদেরকে এবং মুমিনদের নারীদেরকে চাদর দ্বারা নিজেদেরকে আবৃত রাখার আদেশ দেন। কিছু আয়াতে উম্মুল মুমিনীনদেরকেও সম্বোধন করেছেন, কোনো কোনো আয়াতে সাহাবায়ে কেরামকেও সম্বোধন করা হয়েছে। মোটকথা, কুরআন মজীদ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে মুসলিম নারী ও পুরুষের জন্য পর্দার বিধান দান করেছে। এটি শরীয়তের একটি ফরয বিধান। এ বিধানের প্রতি সমর্পিত থাকা ঈমানের দাবি। কিন্তু বেদনার বিষয় এই যে, পশ্চিমা সভ্যতা ও সংস্কৃতির প্রভাবে আমাদের ‘মুসলিম-সমাজ’ এতটাই প্রভাবিত হয়ে পড়েছে যে, কুরআন ও সুন্নাহর বিধানও তাদের কাছে অপরিচিত ও অপ্রয়োজনীয়! (নাউযুবিল্লাহ) ইসলামের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিধান তো-আল্লাহ হেফাযত করুন-মুসলিম পরিচয় বহনকারীদের দ্বারা আক্রমণেরও শিকার। ঐসব বিধানের মধ্যে একটি হচ্ছে পর্দা বিধান। এই সব ‘মুসলমানদের’ কে বোঝাবে যে, এটা নিজের পায়ে কুঠারাঘাতের শামিল...

হে বোন!!!!!!!! নিজের মুল্য বুঝুন, আগামীর কথা ভাবুন।।

ছবি
হে বোন..... “আপনি রাস্তা দিয়ে হাঁটলে অনেক যুবক আপনার কোমরের দিকে আর আপনার বুকের দিকে তাকিয়ে চোখের স্বাদ পায়। তাতে আপনার ভালো লাগে। আপনার হাসিতে গালে টোল পড়া গর্তে অনেক ছেলে নিজেকে কল্পনায় ভাসিয়ে নেয়, তাতে আপনি আনন্দ পান।” . “বুকের উড়না সরিয়ে রাস্তায় হেঁটে বহু যুবকের দৃষ্টি কেড়ে নিতে পারেন মুর্হূতে, এটা আপনার তৃপ্তি! আপনি প্রতি মাসে বিউটি পার্লারে যে টাকা খরচ করেন সে টাকায় কোন গরীব রিকশা চালকের এক মাসের সংসার খরচ চলে যায়।” . —হয়তো সেটা আপনার বাহাদুরি! . “আপনি রাস্তায় হাঁটার সময় শত যুবক আড়-চোখে আপনার দিকে তাকায়! ওরা আপনাকে কিছু সময়ের জন্য কাছে পেতে চায়, সারাজীবনের জন্য নয়।” . “আপনি কি জানেন?– কোন সভ্য মা আপনাকে তার পুত্রবধু হিসেবে চাইবেনা! বরং কিছু সময়ের জন্য কোন ছেলে আপনার মোহে হারিয়ে যাবে। যেমনটা রাস্তার পাশে হকারে কোন শার্ট ভালো লাগলে আমরা তাকিয়ে দেখি।” . “আপনি কি জানেন?– আমরা ঢেকে রাখা দ্রব্য নিরাপদ মনে করি। কারণ তার ভিতরটা জীবাণু মুক্ত থাকে। খোলা জিনিসে মাছি এসে ভীড় করে।” তাহলে আপনি খোলামেলা চলাফিরার পর নিজেকে জীবাণু মুক্ত ভাবেন??? . “আপনি কি জানেন?–...

আধুনিক সমাজে সত্যিই কি নারীর স্থান আছে?

ছবি
এম,এ,এইচ,ইরফানঃ প্রচার-প্রচারণায় নারীর স্থান অতি উচ্চে, কিন্তু দুর্ভাগ্য এই যে, আধুনিক সভ্যতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল, এখানে প্রচার ও বাস্তবে কোনোরূপ মিল নেই। শুনতে হয়তো খারাপ শোনাচ্ছে, কিন্তু এটাই বাস্তব। তা না হলে প্রচার-প্রচারণায় যখন নারীর মর্যাদা ও অধিকার সশব্দে উপস্থিত, নারীর প্রতি সৎ ও বৈষম্যহীন আচরণ যখন সভ্যতার প্রধান মানদণ্ড, তখন বাস্তবক্ষেত্রে এই বিষয়গুলির অনুপস্থিতি এত প্রকট কেন? তাই স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে যে, এইসব প্রচার-প্রচাণার উদ্দেশ্য ও সুফল তাহলে কী? শুধুই একটি মেকি ভদ্রতার আবরণ তৈরি কিংবা বাক্যের পর্দায় গলিত বাস্তবতাকে আবৃত করা? মিডিয়া ও প্রচার-মাধ্যমের তত্ত্বকথায় বিভ্রান্ত না হয়ে কেউ যদি ঐ সব মিডিয়ায় পরিবেশিত ঘটনাগুলোই পর্যবেক্ষণ করেন তাহলে নিঃসন্দেহে বলা যায়, এই প্রশ্ন তাকেও বিচলিত করবে। অথচ প্রকৃত ঘটনার ক্ষুদ্র একটি ভগ্নাংশই মিডিয়ায় প্রচারিত হয়। পত্রিকার পাতা থেকে সামপ্রতিক দু’একটি ঘটনা পাঠকবৃন্দের সামনে তুলে ধরছি। ঘটনা : ১. ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মহেশপুর উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর একজন ছাত্রী। সহপাঠিনীর সাথে তার কিছুটা মনোমালিন্য ছিল। ঘটনার দিন তার সাথে...

হুজুগে বাঙ্গালীঃ কাজ ও অবস্থান ভুললে কি চলবে?

ছবি
এদেশে হুজুগ বা হাওয়ার কোনো শেষ মাত্রা চিহ্নিত নেই। যখন যেদিকে হুজুগ ওঠে মনে হয় দলে দলে মানুষ সেদিকেই ছুটতে থাকে। উল্টো দিকে আর কাউকে দেখা যায় না। এমনকি থেমে থাকা মানুষদেরও ভালো চোখে দেখা হয় না। সবেমাত্র শেষ হওয়া বিশ্বকাপ ফুটবল চলার সময় এ প্রবণতাটি আরেকবার সামনে এসেছে। এসেছে আরোও কিছু বিষয়েও। ফুটবল এখন এদেশে প্রায় না দেখা একটি খেলা। খেলার দৃষ্টিতে দেখলেও ধরা পড়ে, ফুটবলে বাংলাদেশের কোনো জায়গা নেই। এর দর্শক সংখ্যাও এখন কম। কিন্তু যেই বিশ্বকাপ শুরু হল মনে হল এদেশে ফুটবলের পাগল সবাই আগে থেকেই ছিল। এখন যেন সেই পাগলামি আর দমিয়ে রাখা যাচ্ছে না। হুজুগ তো হুজুগ, তার সঙ্গে মিডিয়ার বাতাস! ফুটবল নিয়ে কেউ চার পৃষ্ঠা, কেউ আট পৃষ্ঠা, কেউ ভিন্ন পত্রিকাই প্রকাশ করল। আবার কেউ কেউ বিশাল বিলবোর্ড করে জানান দিল, ফুটবল নিয়ে তাদের জ্ঞান অন্যদের চেয়ে বেশি। কুইজ, প্রতিযোগিতা, হাসি-কান্না, ঝগড়া-তর্ক আর বিশাল বিশাল পতাকা। একটি মিডিয়াও বলল না, এত বাড়াবাড়ি দৃষ্টিকটু, এত অপচয় ঠিক না। এদেশের প্রেক্ষাপটে কেউ যদি বলে, সবার উপরে হুজুগ সত্য তাহলে উপর নাই’-তাহলে তাকে সবচেয়ে সঠিক রস-মন্তব্যকারী হি...

দাম্পত্য জীবনের মাধুর্য ও তিক্ততা : ইসলামের নির্দেশনা।

ছবি
এম,এ,এইচ,ইরফান: অনেক জায়গায় তালাকের শরয়ী বিধান উপেক্ষা করা হয়। স্পষ্ট তিন তালাক দেওয়া সত্ত্বেও তালাকপ্রাপ্তা মহিলার সাথে অনায়াসে ঘর-সংসার করতে থাকে। এমনও শোনা যায়, তালাক দেওয়ার পর স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে গেছে। পরে তালাকদাতা চাপে পড়ে কিংবা মনের টানে মহিলাটিকে নিজ বাড়িতে ফিরিয়ে এনেছে এবং স্বামী-স্ত্রীর মতো জীবন-যাপন করছে। অথচ এভাবে তালাকপ্রাপ্তাকে ফিরিয়ে আনা এবং একসাথে জীবন-যাপন করা সম্পূর্ণ হারাম। সমাজে এমনও ঘটে যে, এভাবে হারাম জীবন-যাপনের পক্ষে অনেক প্রগতিবাদী ‘মুরববী’র সমর্থন থাকে। সান্ত্বনার সুরে একেকজন একেক ধরনের উপদেশ দেন আর বলতে থাকেন, আরে রাগের মাথায় তালাক দিলে স্ত্রী তালাক হয় না। অন্তরে তালাকের নিয়ত না থাকলে তালাক হয় না। স্ত্রী তালাক দেওয়ার সময় নিজ কানে না শুনলে তালাক হয় না। স্ত্রী যদি তালাকের রেজিস্ট্রি গ্রহণ না করে ফিরিয়ে দেয় তাহলে তালাক হয় না। যতক্ষণ স্ত্রী তালাকনামা না পড়বে এবং কবুল না করবে ততক্ষণ তালাক কার্যকর হয় না। শুধু লিখে তালাক দিলে তালাক হয় না, মুখে উচ্চারণ করতে হয়। স্ত্রী গর্ভবতী থাকা অবস্থায় তালাক দিলে তালাক হয় না ইত্যাদি। এভাবে এ...

শেয়ার করে সংগ্রহে রাখুন বাংলাদেশের ১০০ পিঠাপুলির নাম ও তৈরির প্রণালী

ছবি
এম,এ,এইচ,ইরফান: ধান কাঁটা উৎসবে কৃষকের ঘরে যখন নতুন ধান ওঠে সেই ধান ঢেকিতে ভেঙ্গে, তৈরী হয় নানা রকম পিঠা, নতুন চালের ভাত। সেই উপলক্ষে হয় নবান্ন উৎসব!! শীতকালের আবার খেঁজুর গাছের রস জ্বাল দিয়ে গুড়ও বাড়িতেই বানিয়ে ফেলে গ্রামে গন্জের বৌ ঝিয়েরাই। তাই দিয়ে পুরো শীতকাল জুড়েই চলতে থাকে বাড়িতে বাড়িতে পিঠা পুলি তৈরীর গমগমে আমেজ। যদিও পিঠাপুলির মৌসুম বলতে আমরা শীতকালকেই বুঝি তবুও পহেলা বৈশাখে ও নানা উৎসবে সারা বছর জুড়েই আমরা বাঙ্গালীরা খাই নানা রকম পিঠা। শরৎকালে আবার বানানো হয় তালের পিঠা, তালের বড়া আবার সেদিন খেলাম তালের পোরোটা। এমন মজার একটা জিনিস সে তাল থেকে হতে পারে আমি সত্যিই জানতাম না যদি না সেদিন আমার এক কলিগ তা আমাকে বানিয়ে না খাওয়াতো। যাইহোক ঢাকা শহরের ফুটপাতে ফুটপাতে, ফাস্টফুড শপে এবং নানা রকম পিঠার দোকানেও সবচাইতে বেশী যে পিঠাটা দেখা যায় তা ভাপাপিঠা। ছেলেবুড়ো হতে শুরু করে তরুন তরুনি এমনকি অনেক অনেক টিন এইজ ছেলেমেয়েদের পছন্দের তালিকাতেও রয়েছে এই বহুল পরিচিত ভাপা পিঠা।তবে শীতের পিঠা বলতে শুধু ভাপা পিঠাই বুঝায় না। শীতের পিঠায় রয়েছে আরও আরও নানা...